Корпораটিভ বাজেট

корпораটিভ বাজেট

корпораটিভ বাজেট হলো একটি আর্থিক পরিকল্পনা যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি সংস্থার প্রত্যাশিত আয় এবং ব্যয়ের রূপরেখা দেয়। এটি সাধারণত এক বছর মেয়াদী হয়, তবে দীর্ঘমেয়াদী বাজেটও তৈরি করা যেতে পারে। কর্পোরেটিভ বাজেট একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পরিকল্পনা সরঞ্জাম, যা একটি সংস্থাকে তার আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ করতে, কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করতে এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় করতে সহায়তা করে।

কর্পোরেটিভ বাজেটের গুরুত্ব

корпораটিভ বাজেটের গুরুত্ব অনেক। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব আলোচনা করা হলো:

লক্ষ্য নির্ধারণ: বাজেট একটি সংস্থাকে তার আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ করতে সহায়তা করে। এই লক্ষ্যগুলি নির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, অর্জনযোগ্য, প্রাসঙ্গিক এবং সময়-সীমাবদ্ধ (SMART) হওয়া উচিত।
সম্পদ বরাদ্দ: বাজেট সংস্থার সম্পদকে সবচেয়ে কার্যকরভাবে বরাদ্দ করতে সহায়তা করে। এটি নিশ্চিত করে যে, প্রতিটি বিভাগ তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ পাচ্ছে।
কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন: বাজেট ব্যবস্থাপকদের কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করতে সহায়তা করে। প্রকৃত ফলাফল বাজেটের সাথে তুলনা করে, দুর্বলতা চিহ্নিত করা যায় এবং সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
সমন্বয়: বাজেট সংস্থার বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় উন্নত করে। এটি নিশ্চিত করে যে, সমস্ত বিভাগ একই লক্ষ্যে কাজ করছে।
নিয়ন্ত্রণ: বাজেট ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এটি ব্যবস্থাপকদের বাজেট অতিক্রম করা থেকে বিরত রাখে এবং অপচয় রোধ করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: বাজেট ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করতে সহায়তা করে। এটি সংস্থাটিকে সম্ভাব্য সুযোগ এবং ঝুঁকিগুলি চিহ্নিত করতে এবং সেগুলির জন্য প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করে।

কর্পোরেটিভ বাজেটের প্রকারভেদ

বিভিন্ন ধরনের কর্পোরেটিভ বাজেট রয়েছে। নিচে কয়েকটি প্রধান বাজেট নিয়ে আলোচনা করা হলো:

মূল বাজেট (Master Budget): এটি একটি সংস্থার সামগ্রিক বাজেট, যাতে সমস্ত বিভাগীয় বাজেট অন্তর্ভুক্ত থাকে। এর মধ্যে আয় বিবরণী, উদ্বৃত্ত পত্র এবং নগদ প্রবাহ বিবরণী অন্তর্ভুক্ত থাকে।
পরিচালন বাজেট (Operating Budget): এই বাজেটটি সংস্থার দৈনন্দিন কার্যক্রমের সাথে সম্পর্কিত। এর মধ্যে বিক্রয় বাজেট, উৎপাদন বাজেট, সরাসরি উপাদান বাজেট, শ্রম বাজেট এবং ওভারহেড বাজেট অন্তর্ভুক্ত থাকে।
আর্থিক বাজেট (Financial Budget): এই বাজেটটি সংস্থার আর্থিক কার্যক্রমের সাথে সম্পর্কিত। এর মধ্যে নগদ বাজেট, বিনিয়োগ বাজেট এবং অর্থায়ন বাজেট অন্তর্ভুক্ত থাকে।
নমনীয় বাজেট (Flexible Budget): এটি বিভিন্ন স্তরের কার্যক্রমের জন্য তৈরি করা হয়। এটি ব্যবস্থাপকদের প্রকৃত কার্যক্রমের সাথে বাজেট তুলনা করতে সহায়তা করে।
স্থির বাজেট (Static Budget): এটি একটি নির্দিষ্ট স্তরের কার্যক্রমের জন্য তৈরি করা হয়। এটি পরিবর্তনশীল কার্যক্রমের স্তরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ক্রমাগত বাজেট (Continuous Budget): এই বাজেটটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তৈরি করা হয় এবং নিয়মিতভাবে আপডেট করা হয়।

বাজেট প্রণয়নের প্রক্রিয়া

বাজেট প্রণয়ন একটি জটিল প্রক্রিয়া, যার মধ্যে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে:

1. লক্ষ্য নির্ধারণ: প্রথম ধাপে, সংস্থার আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। এই লক্ষ্যগুলি SMART হওয়া উচিত। 2. তথ্য সংগ্রহ: দ্বিতীয় ধাপে, বাজেট প্রণয়নের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এই তথ্যের মধ্যে ঐতিহাসিক ডেটা, বাজারের প্রবণতা এবং অর্থনৈতিক পূর্বাভাস অন্তর্ভুক্ত থাকে। 3. বাজেট তৈরি: তৃতীয় ধাপে, সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে বাজেট তৈরি করতে হবে। এই বাজেটটি বাস্তবসম্মত এবং অর্জনযোগ্য হওয়া উচিত। 4. বাজেট অনুমোদন: চতুর্থ ধাপে, বাজেটটি সংস্থার পরিচালনা পর্ষদ বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। 5. বাজেট বাস্তবায়ন: পঞ্চম ধাপে, বাজেটটি বাস্তবায়ন করতে হবে। এর জন্য, প্রতিটি বিভাগকে তাদের বাজেট অনুযায়ী কাজ করতে হবে। 6. পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন: ষষ্ঠ ধাপে, বাজেটের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং নিয়মিতভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। প্রয়োজনে, বাজেটে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাজেট প্রণয়নের ধাপ
বিবরণ		লক্ষ্য নির্ধারণ		তথ্য সংগ্রহ		বাজেট তৈরি		বাজেট অনুমোদন		বাজেট বাস্তবায়ন		পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন

বাজেট কৌশল

বিভিন্ন ধরনের বাজেট কৌশল রয়েছে। নিচে কয়েকটি প্রধান কৌশল আলোচনা করা হলো:

বৃদ্ধি বাজেট (Incremental Budgeting): এই কৌশলে, পূর্ববর্তী বছরের বাজেটকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হয় এবং সামান্য বৃদ্ধি করা হয়।
শূন্য-ভিত্তিক বাজেট (Zero-Based Budgeting): এই কৌশলে, প্রতিটি ব্যয়কে নতুন করে মূল্যায়ন করা হয় এবং কোনো ব্যয়কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুমোদন করা হয় না।
কার্যক্রম-ভিত্তিক বাজেট (Activity-Based Budgeting): এই কৌশলে, কার্যক্রমের ভিত্তিতে বাজেট তৈরি করা হয়।
মূল্য-ভিত্তিক বাজেট (Value-Based Budgeting): এই কৌশলে, সংস্থার মূল্যের উপর ভিত্তি করে বাজেট তৈরি করা হয়।

বাজেটের সীমাবদ্ধতা

বাজেটের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নিচে কয়েকটি প্রধান সীমাবদ্ধতা আলোচনা করা হলো:

অনিশ্চয়তা: বাজেট ভবিষ্যতের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়, যা অনিশ্চিত হতে পারে।
সময়সাপেক্ষ: বাজেট প্রণয়ন একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া।
rigidতা: বাজেট অনেক সময় rigid হতে পারে এবং পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না।
রাজনৈতিক প্রভাব: বাজেট প্রণয়নে রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে পারে, যা বাজেটের বাস্তবতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
খরচবহুল: বাজেট প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন ব্যয়বহুল হতে পারে।

আধুনিক বাজেট ব্যবস্থাপনা

আধুনিক বাজেট ব্যবস্থাপনায়, প্রযুক্তি এবং ডেটা বিশ্লেষণের ব্যবহার বাড়ছে। এর ফলে বাজেট প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন আরও নির্ভুল এবং কার্যকর হচ্ছে। কিছু আধুনিক বাজেট ব্যবস্থাপনা কৌশল হলো:

রোলিং ফোরকাস্ট (Rolling Forecast): এই পদ্ধতিতে, বাজেট ক্রমাগতভাবে আপডেট করা হয়।
প্রিডিক্টিভ অ্যানালিটিক্স (Predictive Analytics): এই পদ্ধতিতে, ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভবিষ্যতের প্রবণতা অনুমান করা হয় এবং বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ক্লাউড-ভিত্তিক বাজেট সফটওয়্যার (Cloud-Based Budgeting Software): এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে বাজেট প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন সহজ করা যায়।

কর্পোরেটিভ বাজেটের সাথে সম্পর্কিত বিষয়াবলী

এই নিবন্ধটি কর্পোরেটিভ বাজেট সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারণা প্রদান করে। আশা করি, এটি আপনার জন্য সহায়ক হবে।

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ