Корпораটিভ নিয়ন্ত্রণ

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণ

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণ (Corporate Governance) একটি বহুমাত্রিক ধারণা। এটি কোনো কোম্পানি কিভাবে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়, তার কাঠামো, প্রক্রিয়া এবং নিয়মকানুন নিয়ে গঠিত। কর্পোরেট গভর্নেন্সের মূল লক্ষ্য হলো কোম্পানির স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা। এটি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করে এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জনে সহায়তা করে।

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণের সংজ্ঞা

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণ হলো সেই পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোনো কোম্পানি পরিচালিত হয় এবং এর কর্মপরিচালনা監督 করা হয়। এই পদ্ধতিতে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ (Board of Directors), ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (Management) এবং অন্যান্য অংশীদারদের (Stakeholders) মধ্যে সম্পর্ক এবং দায়িত্ব বিন্যাস করা হয়। কর্পোরেট গভর্নেন্স নিশ্চিত করে যে কোম্পানিটি আইন ও নৈতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণের মূল উপাদান

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণ পাঁচটি মূল উপাদানের ওপর ভিত্তি করে গঠিত:

১. জবাবদিহিতা (Accountability): কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাদের কাজের জন্য দায়বদ্ধ থাকবে। ২. স্বচ্ছতা (Transparency): কোম্পানির আর্থিক অবস্থা, কর্মপরিচালনা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সকলের জন্য সহজলভ্য হতে হবে। ৩. ন্যায্যতা (Fairness): সকল অংশীদারদের প্রতি সমান আচরণ করতে হবে এবং তাদের অধিকার রক্ষা করতে হবে। ৪. স্বাধীনতা (Independence): পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম হতে হবে এবং কোনো প্রকার প্রভাবের বাইরে থাকতে হবে। ৫. দায়িত্বশীলতা (Responsibility): কোম্পানিকে তার সামাজিক এবং পরিবেশগত দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণ কেন গুরুত্বপূর্ণ? এর কয়েকটি প্রধান কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:

বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি: ভালো কর্পোরেট গভর্নেন্স বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করে, যা বেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে। বিনিয়োগ
ঋণ প্রাপ্তি সহজতর: যে সকল কোম্পানির কর্পোরেট গভর্নেন্স ব্যবস্থা সুসংহত, তারা সহজে ঋণ পেতে পারে। ঋণ
কোম্পানির সুনাম বৃদ্ধি: একটি সুপরিচালিত কোম্পানি সমাজে সুনাম অর্জন করে, যা ব্যবসার প্রসারে সহায়ক। ব্র্যান্ডিং
ঝুঁকি হ্রাস: কর্পোরেট গভর্নেন্স কোম্পানির অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা
দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি: এটি কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। কর্পোরেট পরিকল্পনা

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণের কাঠামো

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণের কাঠামো বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত, যা কোম্পানির পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াকে সুসংহত করে। এই কাঠামোতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে:

১. পরিচালনা পর্ষদ (Board of Directors): পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা। এর সদস্যরা কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ব্যবস্থাপনার কাজকর্ম তদারকি করে। পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নির্বাচন এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়মকানুন থাকে। পরিচালনা পর্ষদ ২. নিরীক্ষা কমিটি (Audit Committee): নিরীক্ষা কমিটি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন এবং অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিরীক্ষণ করে। এটি নিশ্চিত করে যে কোম্পানির আর্থিক তথ্য সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য। নিরীক্ষা ৩. ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (Management): ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কোম্পানির দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা করে এবং পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশনাবলী বাস্তবায়ন করে। ব্যবস্থাপনা ৪. অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (Internal Control System): অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কোম্পানির সম্পদ রক্ষা করে এবং ভুলত্রুটি ও জালিয়াতি রোধ করে। অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ৫. শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার (Shareholders’ Rights): শেয়ারহোল্ডারদের কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (Annual General Meeting) অংশগ্রহণের অধিকার থাকে এবং তারা কোম্পানির নীতি নির্ধারণে মতামত দিতে পারে। শেয়ারহোল্ডার

কর্পোরেট নিয়ন্ত্রণের কাঠামো
উপাদান	ভূমিকা
পরিচালনা পর্ষদ	কোম্পানির নীতিনির্ধারণ ও তত্ত্বাবধান
নিরীক্ষা কমিটি	আর্থিক প্রতিবেদন ও নিয়ন্ত্রণ নিরীক্ষণ
ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ	দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা
অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ	সম্পদ রক্ষা ও জালিয়াতি রোধ
শেয়ারহোল্ডারগণ	মালিকানা ও মতামত প্রদান

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণের নীতিসমূহ

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণের কিছু মৌলিক নীতি রয়েছে, যা কোম্পানিগুলোকে সুশাসন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এই নীতিগুলো হলো:

মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ পৃথক করা: কোম্পানির মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সুস্পষ্ট বিভাজন থাকতে হবে।
শেয়ারহোল্ডারদের সমঅধিকার: সকল শেয়ারহোল্ডারদের সমান অধিকার থাকতে হবে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: কোম্পানির সকল কাজকর্ম স্বচ্ছ হতে হবে এবং ব্যবস্থাপনার কর্তৃপক্ষকে তাদের কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
স্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ: পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম হতে হবে এবং তাদের কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ থাকা উচিত নয়।
সময়োপযোগী প্রকাশনা: কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সময়োপযোগী এবং নির্ভুলভাবে প্রকাশ করতে হবে।

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণ এবং আইন

বিভিন্ন দেশে কর্পোরেট গভর্নেন্সের জন্য বিভিন্ন আইন ও বিধিবিধান রয়েছে। এই আইনগুলো কোম্পানিগুলোকে সুশাসন নিশ্চিত করতে বাধ্য করে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইন হলো:

কোম্পানি আইন (Companies Act): এই আইন কোম্পানিগুলোর গঠন, পরিচালনা এবং অবসায়ন সম্পর্কিত নিয়মকানুন নির্ধারণ করে। কোম্পানি আইন
সিকিউরিটিজ আইন (Securities Act): এই আইন শেয়ার বাজার এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে। সিকিউরিটিজ আইন
ব্যাংক কোম্পানি আইন (Bank Company Act): এই আইন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত নিয়মকানুন নির্ধারণ করে। ব্যাংকিং আইন
কর্পোরেট গভর্নেন্স কোড (Corporate Governance Code): অনেক দেশ কর্পোরেট গভর্নেন্স কোড প্রণয়ন করেছে, যা কোম্পানিগুলোকে সুশাসন অনুশীলনে উৎসাহিত করে।

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জসমূহ

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়নে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো হলো:

মালিকানার কেন্দ্রীভূতকরণ: অনেক কোম্পানির মালিকানা অল্প সংখ্যক মানুষের হাতে কেন্দ্রীভূত থাকে, যা কর্পোরেট গভর্নেন্সের পথে বাধা সৃষ্টি করে।
তথ্যের অভাব: বিনিয়োগকারীদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব থাকে, যার কারণে তারা কোম্পানির কাজকর্ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারে না।
দুর্বল প্রয়োগ: কর্পোরেট গভর্নেন্স আইন ও বিধিবিধানের দুর্বল প্রয়োগের কারণে কোম্পানিগুলো প্রায়শই নিয়ম লঙ্ঘন করে।
দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি: দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি কর্পোরেট গভর্নেন্সের জন্য একটি বড় হুমকি।
সাংস্কৃতিক বাধা: কিছু সংস্কৃতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিবর্তে গোপনীয়তাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, যা কর্পোরেট গভর্নেন্সের পথে বাধা সৃষ্টি করে।

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণ এবং টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ

корпораটিভ গভর্নেন্সের সাথে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের সম্পর্ক রয়েছে। একটি কোম্পানির সুশাসন ব্যবস্থা থাকলে তার শেয়ারের দাম স্থিতিশীল থাকে এবং বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হয়। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের মাধ্যমে শেয়ারের দামের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

মুভিং এভারেজ (Moving Average): শেয়ারের গড় দামের প্রবণতা নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। মুভিং এভারেজ
রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স (RSI): শেয়ারের অতিরিক্ত ক্রয় বা বিক্রয় পরিস্থিতি নির্দেশ করে। RSI
এমএসিডি (MACD): দুটি মুভিং এভারেজের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করে। MACD
ভলিউম (Volume): শেয়ারের লেনদেনের পরিমাণ নির্দেশ করে। ভলিউম বিশ্লেষণ
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল (Support and Resistance Level): শেয়ারের দামের সম্ভাব্য বাধা এবং সমর্থন স্তর চিহ্নিত করে। সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ

ভলিউম বিশ্লেষণ কর্পোরেট গভর্নেন্সের সাথে সম্পর্কিত। যদি কোনো কোম্পানির শেয়ারে অস্বাভাবিক ভলিউম দেখা যায়, তবে তা কোম্পানির অভ্যন্তরীণ কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত হতে পারে।

অন ব্যালেন্স ভলিউম (OBV): দাম এবং ভলিউমের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করে। OBV
অ্যাকুমুলেশন/ডিস্ট্রিবিউশন লাইন (A/D Line): শেয়ারের ক্রয় এবং বিক্রয়ের চাপ পরিমাপ করে। A/D Line
ভলিউম প্রাইস ট্রেন্ড (VPT): ভলিউম এবং দামের সমন্বিত বিশ্লেষণ। VPT

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণের ভবিষ্যৎ

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণের ধারণা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে। বর্তমানে, পরিবেশগত, সামাজিক এবং গভর্নেন্স (ESG) বিষয়গুলো কর্পোরেট গভর্নেন্সের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে, কর্পোরেট গভর্নেন্স আরও বেশি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে বলে আশা করা যায়।

পরিবেশগত প্রভাব (Environmental Impact): কোম্পানির পরিবেশের উপর প্রভাব মূল্যায়ন করা এবং তা কমানোর ব্যবস্থা নেওয়া। পরিবেশগত সুরক্ষা
সামাজিক দায়বদ্ধতা (Social Responsibility): সমাজের প্রতি কোম্পানির দায়বদ্ধতা পালন করা এবং সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা। সামাজিক দায়বদ্ধতা
গভর্নেন্স কাঠামো (Governance Structure): কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনার কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা।

উপসংহার

корпораটিভ নিয়ন্ত্রণ একটি অত্যাবশ্যকীয় প্রক্রিয়া, যা কোম্পানির সাফল্য এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। সুশাসন ব্যবস্থা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করে, ঋণ প্রাপ্তি সহজতর করে এবং কোম্পানির সুনাম বৃদ্ধি করে। কর্পোরেট গভর্নেন্সের নীতিগুলো অনুসরণ করে কোম্পানিগুলো দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে এবং সমাজের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে।

কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা আর্থিক বিশ্লেষণ ঝুঁকি মূল্যায়ন শেয়ার বাজার পরিচালনা আইন নীতি কোম্পানি বিনিয়োগকারী শেয়ারহোল্ডার পরিচালনা পর্ষদ নিরীক্ষা অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্র্যান্ডিং কর্পোরেট পরিকল্পনা ব্যাংকিং আইন সিকিউরিটিজ আইন কোম্পানি আইন

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ