Deriv (Binary.com)

From binaryoption
Revision as of 19:12, 26 March 2025 by Admin (talk | contribs) (@pipegas_WP)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)
Jump to navigation Jump to search
Баннер1

ডেরিভ (বাইনারি ডটকম): একটি বিস্তারিত আলোচনা

ডেরিভ (পূর্বে বাইনারি ডটকম নামে পরিচিত) একটি অনলাইন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম। এটি বাইনারি অপশন এবং অন্যান্য ডেরিভেটিভ পণ্য ট্রেড করার সুযোগ প্রদান করে। এই প্ল্যাটফর্মটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, বিশেষ করে নতুন ট্রেডারদের মধ্যে, এর সহজ ইন্টারফেস এবং শিক্ষামূলক রিসোর্সের জন্য। এই নিবন্ধে, ডেরিভের বিভিন্ন দিক, যেমন - প্ল্যাটফর্মের বৈশিষ্ট্য, ট্রেডিংয়ের প্রকারভেদ, অ্যাকাউন্টের প্রকারভেদ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

ডেরিভ প্ল্যাটফর্মের পরিচিতি

ডেরিভ প্ল্যাটফর্মটি ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি মাল্টা গেমিং অথরিটি (MGA) দ্বারা লাইসেন্সপ্রাপ্ত। এটি বিভিন্ন ধরনের আর্থিক উপকরণ ট্রেড করার সুযোগ দেয়, যার মধ্যে বাইনারি অপশন, ডিজিটাল অপশন, ফরেন এক্সচেঞ্জ (Forex), ক্রিপ্টোকারেন্সি, এবং কমোডিটি উল্লেখযোগ্য। ডেরিভের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:

  • ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস: প্ল্যাটফর্মটি সহজে ব্যবহারযোগ্য, যা নতুন ট্রেডারদের জন্য খুবই উপযোগী।
  • বিভিন্ন ট্রেডিং অপশন: এখানে বিভিন্ন ধরনের ট্রেডিং অপশন রয়েছে, যা ট্রেডারদের পছন্দ অনুযায়ী ট্রেড করতে সাহায্য করে।
  • শিক্ষামূলক রিসোর্স: ডেরিভ তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন শিক্ষামূলক উপকরণ সরবরাহ করে, যেমন - ট্রেডিং গাইড, টিউটোরিয়াল, এবং ওয়েবিনার।
  • ডেমো অ্যাকাউন্ট: নতুন ট্রেডাররা কোনো ঝুঁকি ছাড়াই ট্রেডিং অনুশীলন করার জন্য ডেমো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারে।
  • দ্রুত পেআউট: ডেরিভ দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য পেআউট প্রদান করে।
  • মোবাইল অ্যাপ: ডেরিভের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে যে কোনো স্থান থেকে ট্রেড করা যায়।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং কি?

বাইনারি অপশন হলো একটি আর্থিক উপকরণ, যেখানে ট্রেডাররা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো সম্পদের (যেমন - স্টক, কারেন্সি, কমোডিটি) দাম বাড়বে নাকি কমবে, তা অনুমান করে ট্রেড করে। যদি ট্রেডারের অনুমান সঠিক হয়, তবে সে লাভ পায়; অন্যথায়, সে তার বিনিয়োগ হারায়। বাইনারি অপশনের ক্ষেত্রে, লাভের পরিমাণ সাধারণত নির্দিষ্ট থাকে, তবে ক্ষতির পরিমাণ বিনিয়োগের সমান হয়।

ডেরিভে ট্রেডিংয়ের প্রকারভেদ

ডেরিভে বিভিন্ন ধরনের ট্রেডিং অপশন उपलब्ध রয়েছে। নিচে কয়েকটি প্রধান ট্রেডিং প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো:

  • হাই/লো অপশন: এটি সবচেয়ে সাধারণ বাইনারি অপশন। এখানে ট্রেডারকে অনুমান করতে হয় যে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদের দাম বাড়বে নাকি কমবে।
  • টাচ/নো-টাচ অপশন: এই অপশনে, ট্রেডারকে অনুমান করতে হয় যে, সম্পদের দাম একটি নির্দিষ্ট স্তরে পৌঁছাবে কিনা।
  • ইন/আউট অপশন: এই অপশনে, ট্রেডারকে অনুমান করতে হয় যে, সম্পদের দাম একটি নির্দিষ্ট পরিসরের মধ্যে থাকবে কিনা।
  • ওয়ান-টাচ অপশন: এটি টাচ অপশনের মতো, কিন্তু এখানে ট্রেডারকে শুধুমাত্র একবার দাম স্পর্শ করার পূর্বাভাস দিতে হয়।
  • ডিজিটাল অপশন: ডিজিটাল অপশনগুলো বাইনারি অপশনের মতোই, তবে এখানে পেআউটের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।

ডেরিভে অ্যাকাউন্টের প্রকারভেদ

ডেরিভে বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট সরবরাহ করে, যা ট্রেডারদের প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারে। প্রধান অ্যাকাউন্টগুলো হলো:

  • ডেমো অ্যাকাউন্ট: এটি নতুন ট্রেডারদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ, যেখানে তারা কোনো ঝুঁকি ছাড়াই ট্রেডিং অনুশীলন করতে পারে। ডেমো অ্যাকাউন্টে ভার্চুয়াল তহবিল সরবরাহ করা হয়।
  • বেসিক অ্যাকাউন্ট: এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ট্রেডাররা সাধারণ ট্রেডিং সুবিধাগুলো উপভোগ করতে পারে।
  • স্ট্যান্ডার্ড অ্যাকাউন্ট: স্ট্যান্ডার্ড অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত কিছু সুবিধা রয়েছে, যেমন - দ্রুত পেআউট এবং উন্নত গ্রাহক পরিষেবা।
  • VIP অ্যাকাউন্ট: এটি ডেরিভের সবচেয়ে উন্নত অ্যাকাউন্ট, যা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার এবং অন্যান্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করে।
ডেরিভ অ্যাকাউন্টের প্রকারভেদ
অ্যাকাউন্টের নাম|ন্যূনতম ডিপোজিট|সুবিধা| ডেমো অ্যাকাউন্ট|নেই|ঝুঁকি ছাড়া ট্রেডিং অনুশীলন| বেসিক অ্যাকাউন্ট|$৫|সাধারণ ট্রেডিং সুবিধা| স্ট্যান্ডার্ড অ্যাকাউন্ট|$২৫০|দ্রুত পেআউট, উন্নত গ্রাহক পরিষেবা| VIP অ্যাকাউন্ট|$২,৫০০|ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার, বিশেষ সুবিধা|

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ট্রেডিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে ঝুঁকির পরিমাণ বেশি হতে পারে, তাই ট্রেডারদের উচিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার নিয়মগুলো অনুসরণ করা। কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশল নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • স্টপ-লস অর্ডার: স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করে ট্রেডাররা তাদের সম্ভাব্য ক্ষতি সীমিত করতে পারে।
  • টেক প্রফিট অর্ডার: টেক প্রফিট অর্ডার ব্যবহার করে ট্রেডাররা একটি নির্দিষ্ট লাভের স্তরে পৌঁছালে ট্রেড স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করতে পারে।
  • পজিশন সাইজিং: ট্রেডারদের উচিত তাদের অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্সের উপর ভিত্তি করে পজিশন সাইজ নির্ধারণ করা।
  • ডাইভারসিফিকেশন: বিভিন্ন ধরনের সম্পদে বিনিয়োগ করে ট্রেডাররা তাদের ঝুঁকি কমাতে পারে।
  • মানসিক শৃঙ্খলা: ট্রেডিংয়ের সময় আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি।

টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ

টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ্ধতি। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ অতীতের দামের ডেটা এবং চার্ট ব্যবহার করে ভবিষ্যতের দামের গতিবিধিPredict করার চেষ্টা করে। অন্যদিকে, ভলিউম বিশ্লেষণ ট্রেডিং ভলিউমের উপর ভিত্তি করে বাজারের প্রবণতা বিশ্লেষণ করে।

  • চার্ট প্যাটার্ন: বিভিন্ন চার্ট প্যাটার্ন (যেমন - হেড অ্যান্ড শোল্ডারস, ডাবল টপ, ডাবল বটম) ব্যবহার করে ট্রেডাররা বাজারের প্রবণতা শনাক্ত করতে পারে।
  • মুভিং এভারেজ: মুভিং এভারেজ হলো একটি টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর, যা দামের গড় গতিবিধি প্রদর্শন করে।
  • আরএসআই (RSI): আরএসআই একটি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর, যা ওভারবট এবং ওভারসোল্ড অবস্থা নির্দেশ করে।
  • MACD: MACD একটি ট্রেন্ড-ফলোয়িং মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর, যা বাজারের প্রবণতা এবং গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
  • ভলিউম ইন্ডিকেটর: ভলিউম ইন্ডিকেটর (যেমন - অন ব্যালেন্স ভলিউম) বাজারের গতিবিধি এবং ট্রেডিং চাপ মূল্যায়ন করতে সাহায্য করে।

ডেরিভে ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা

ডেরিভে ব্যবহারের কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • সুবিধা:
   *   সহজ ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাটফর্ম।
   *   বিভিন্ন ট্রেডিং অপশন।
   *   শিক্ষামূলক রিসোর্সের उपलब्धता।
   *   ডেমো অ্যাকাউন্টের সুবিধা।
   *   দ্রুত পেআউট।
  • অসুবিধা:
   *   উচ্চ ঝুঁকি।
   *   কিছু দেশে ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা।
   *   নিয়ন্ত্রণের অভাব।

ডেরিভের বিকল্প প্ল্যাটফর্ম

ডেরিভের পাশাপাশি, আরও অনেক বাইনারি অপশন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম उपलब्ध রয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি হলো:

উপসংহার

ডেরিভ (বাইনারি ডটকম) একটি জনপ্রিয় অনলাইন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম, যা বাইনারি অপশন এবং অন্যান্য ডেরিভেটিভ পণ্য ট্রেড করার সুযোগ প্রদান করে। নতুন এবং অভিজ্ঞ উভয় ট্রেডারদের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটি উপযুক্ত। তবে, বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে ঝুঁকির পরিমাণ বেশি, তাই ট্রেডারদের উচিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার নিয়মগুলো অনুসরণ করা এবং সতর্কতার সাথে ট্রেড করা।

ফরেক্স ট্রেডিং ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং স্টক মার্কেট ফিনান্সিয়াল মার্কেট ট্রেডিং কৌশল ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ভলিউম বিশ্লেষণ চার্ট প্যাটার্ন মুভিং এভারেজ আরএসআই (RSI) MACD ফরেক্স ব্রোকার বাইনারি অপশন ব্রোকার অনলাইন ট্রেডিং বিনিয়োগ ফিনান্সিয়াল লিটারেসি ডেরিভ প্ল্যাটফর্মের টিউটোরিয়াল বাইনারি অপশন ট্রেডিং কৌশল ডেমো অ্যাকাউন্টের ব্যবহার

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ

Баннер