Planet Earth

পৃথিবী গ্রহ

পৃথিবী (Earth) সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ, যা সূর্য থেকে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার (৯ কোটি ৩০ লক্ষ মাইল) দূরে অবস্থিত। এটি জীবনের জন্য পরিচিত একমাত্র গ্রহ। প্রায় ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে গঠিত এই গ্রহটি মহাকাশের অন্যান্য গ্রহের তুলনায় বেশ কয়েকটি বিশেষত্ব ধারণ করে। এই নিবন্ধে পৃথিবীর গঠন, বৈশিষ্ট্য, ভূগোল, জলবায়ু, জীববৈচিত্র্য এবং মানবজাতির উপর এর প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

গঠন ও বৈশিষ্ট্য

পৃথিবীর গঠন বেশ জটিল। এটি প্রধানত কয়েকটি স্তরে বিভক্ত:

ভূত্বক (Crust): এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বাইরের স্তর, যা কঠিন শিলা এবং মাটি দিয়ে গঠিত। এর পুরুত্ব প্রায় ৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়। ভূত্বক দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত - মহাদেশীয় ভূত্বক ও মহাসাগরীয় ভূত্বক।
mantle বা গুরুমণ্ডল: ভূত্বকের নিচে অবস্থিত এই স্তরটি প্রায় ২,৯০০ কিলোমিটার পুরু। এটি প্রধানত সিলिकेट শিলা দ্বারা গঠিত এবং আংশিকভাবে গলিত অবস্থায় থাকে।
বাইরের কোর (Outer Core): এটি তরল লোহা ও নিকেল দ্বারা গঠিত, যার পুরুত্ব প্রায় ২,২০০ কিলোমিটার। এই স্তরের ঘূর্ণনের কারণে পৃথিবীর চুম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয়।
ভেতরের কোর (Inner Core): পৃথিবীর কেন্দ্রে অবস্থিত এই স্তরটি কঠিন লোহা ও নিকেল দ্বারা গঠিত এবং এর ব্যাসার্ধ প্রায় ১,২৫০ কিলোমিটার।

পৃথিবীর গড় ঘনত্ব ৫.৫১ গ্রাম/ঘন সেন্টিমিটার। এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অন্যান্য গ্রহের তুলনায় বেশি, যা জীবনধারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভূগোল

পৃথিবীর ভূগোল অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। এর পৃষ্ঠভাগ মহাদেশ, মহাসাগর, পর্বত, নদী এবং মরুভূমি দ্বারা গঠিত।

মহাদেশ	ক্ষেত্রফল (বর্গকিলোমিটার)	ইউরোপ	১০,১৮০,০০০	এশিয়া	৪৪,৬১৪,০০০	আফ্রিকা	৩০,৩৮৬,৫০০	উত্তর আমেরিকা	২৪,২৩০,০০০	দক্ষিণ আমেরিকা	১৭,৮৪০,০০০	অ্যান্টার্কটিকা	১৪,২০০,০০০	অস্ট্রেলিয়া	৮,৬০০,০০০

পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর হলো প্রশান্ত মহাসাগর, যা পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ আয়তন জুড়ে রয়েছে। অন্যান্য প্রধান মহাসাগরগুলো হলো আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, উত্তর মহাসাগর এবং দক্ষিণ মহাসাগর।

জলবায়ু

পৃথিবীর জলবায়ু বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন - অক্ষাংশ, উচ্চতা, বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্র স্রোত এবং বৃষ্টিপাত। পৃথিবীর জলবায়ু অঞ্চলগুলোকে প্রধানত পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়:

ক্রান্তীয় জলবায়ু: এই অঞ্চলে সারা বছর উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া থাকে।
উপক্রান্তীয় জলবায়ু: এই অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল গরম ও শুষ্ক এবং শীতকাল হালকা থাকে।
সমভাবাপন্ন জলবায়ু: এই অঞ্চলে চারটি স্বতন্ত্র ঋতু দেখা যায়।
শীতল জলবায়ু: এই অঞ্চলে শীতকাল দীর্ঘ ও ঠান্ডা এবং গ্রীষ্মকাল সংক্ষিপ্ত ও হালকা থাকে।
মেরু জলবায়ু: এই অঞ্চলে সারা বছর ঠান্ডা থাকে এবং বরফ জমা থাকে।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে পৃথিবীর জলবায়ুর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।

জীববৈচিত্র্য

পৃথিবীতে জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এখানে লক্ষ লক্ষ প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী বাস করে। জীববৈচিত্র্য পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পৃথিবীর প্রধান বায়োমগুলো হলো:

বনভূমি: বৃষ্টি অরণ্য, সমভাবাপন্ন বন, শীতল বন ইত্যাদি।
ঘাসভূমি: সাভানা, স্টেপ ইত্যাদি।
মরুভূমি: গরম মরুভূমি, ঠান্ডা মরুভূমি ইত্যাদি।
তুন্দ্রা: আর্কটিক তুন্দ্রা, আলপাইন তুন্দ্রা ইত্যাদি।
জলজ পরিবেশ: নদী, হ্রদ, সমুদ্র ইত্যাদি।

পৃথিবীর টেকটোনিক প্লেট এবং ভূমিকম্প

পৃথিবীর ভূত্বক বেশ কয়েকটি টেকটোনিক প্লেটে বিভক্ত। এই প্লেটগুলো ধীরে ধীরে নড়াচড়া করে এবং একে অপরের সাথে ধাক্কা লাগলে বা দূরে সরে গেলে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্পের তীব্রতা রিখটার স্কেলের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়।

পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র

পৃথিবীর একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র রয়েছে, যা সূর্যের ক্ষতিকর বিকিরণ থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই চৌম্বক ক্ষেত্রটি পৃথিবীর অভ্যন্তরের তরল লোহার ঘূর্ণনের কারণে সৃষ্টি হয়।

মানবজাতির উপর প্রভাব

পৃথিবী মানবজাতির আবাসস্থল এবং আমাদের জীবনের জন্য অপরিহার্য। আমরা পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করি। তবে, মানুষের কার্যকলাপের কারণে পৃথিবীর পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং প্রাকৃতিক সম্পদের উপর চরম চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ:

ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন : শেয়ার বাজারের গতিবিধি বোঝার জন্য বহুল ব্যবহৃত।
মুভিং এভারেজ : নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেয়ারের গড় মূল্য নির্ণয় করে ভবিষ্যৎ প্রবণতা সম্পর্কে ধারণা দেয়।
আরএসআই (Relative Strength Index) : শেয়ারের অতিরিক্ত কেনা বা বিক্রির চাপ নির্দেশ করে।
এফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট : সম্ভাব্য সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
ভলিউম ওয়েটেড এভারেজ প্রাইস (VWAP) : একটি নির্দিষ্ট সময়কালে ট্রেডিং ভলিউমের উপর ভিত্তি করে গড় মূল্য নির্ণয় করে।

ভলিউম বিশ্লেষণ:

অন ব্যালেন্স ভলিউম (OBV) : ভলিউমের পরিবর্তনের মাধ্যমে শেয়ারের দামের গতিবিধি বিশ্লেষণ করে।
অ্যাকুমুলেশন/ডিস্ট্রিবিউশন লাইন : শেয়ারের চাহিদা ও যোগানের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করে।
মানি ফ্লো ইনডেক্স (MFI) : শেয়ারের দাম এবং ভলিউমের সমন্বয়ে তৈরি একটি নির্দেশক।
চাইকিন ভলিউম : বাজারের গতিবিধি এবং সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলি সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।
ভলিউম প্রোফাইল : একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিভিন্ন মূল্যের স্তরে ট্রেডিং ভলিউম প্রদর্শন করে।

ট্রেডিং কৌশল:

ডে ট্রেডিং : স্বল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত মুনাফা অর্জনের জন্য একই দিনে শেয়ার কেনা-বেচা করা।
সুইং ট্রেডিং : কয়েক দিন বা সপ্তাহের জন্য শেয়ার ধরে রাখা।
পজিশন ট্রেডিং : দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য শেয়ার কেনা এবং কয়েক মাস বা বছর ধরে রাখা।
স্কাল্পিং : খুব অল্প সময়ের মধ্যে ছোট ছোট লাভের জন্য ট্রেড করা।
ব্রেকআউট ট্রেডিং : যখন শেয়ারের দাম একটি নির্দিষ্ট স্তর অতিক্রম করে, তখন ট্রেড করা।

পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষার জন্য আমাদের সচেতন হওয়া উচিত এবং টেকসই উন্নয়নের পথে অগ্রসর হওয়া উচিত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

আরও জানতে:

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ