মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (United States of America), সংক্ষেপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউএসএ (USA), উত্তর আমেরিকার একটি দেশ। ৫০টি রাজ্য, একটি ফেডারেল জেলা, পাঁচটি প্রধান স্ব-শাসিত অঞ্চল এবং বিভিন্ন দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই দেশটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ভূখণ্ড এবং তৃতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যা বিশিষ্ট দেশ। দেশটির অর্থনীতি বিশ্বের বৃহত্তম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা একটি সংযুক্তিসম্পন্ন রাষ্ট্রপতিশাসিত প্রজাতন্ত্র যা একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো দ্বারা গঠিত।
ইতিহাস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস কয়েক হাজার বছর আগের আদিবাসী আমেরিকানদের বসতি স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। ক্রিস্টোফার কলম্বাস ১৪৯২ সালে এখানে পৌঁছানোর পর ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপনের সূচনা হয়। যুক্তরাজ্য ১৩টি উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করে, যা পরবর্তীতে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণা-এর মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করে। আমেরিকান বিপ্লবী যুদ্ধ (১৭৭৫-১৭৮৩) এই স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করে।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিমে নিজেদের বিস্তৃতি ঘটায়, যা 'ম্যানিফেস্ট ডেস্টিনি' নামে পরিচিত। এই সময়কালে দাসত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল, যা আমেরিকান গৃহযুদ্ধ (১৮৬১-১৮৬৫) -এর কারণ হয়। গৃহযুদ্ধের পর দাসত্ব বিলুপ্ত করা হয় এবং দেশটি শিল্পায়নের দিকে অগ্রসর হয়। বিংশ শতাব্দীতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুটি বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং ঠান্ডা যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন-এর বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়।
ভূগোল
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূগোল অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। দেশটির পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর, পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর এবং উত্তরে কানাডা ও দক্ষিণে মেক্সিকো অবস্থিত। আলাস্কা উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত এবং হাওয়াই প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে দ্বীপপুঞ্জ হিসেবে অবস্থিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে:
- অ্যাপalachিয়ান পর্বতমালা: পূর্ব উপকূলের вдоль বিস্তৃত পর্বতশ্রেণী।
- গ্রেট প্লেইনস: মধ্যভাগের বিশাল তৃণভূমি অঞ্চল।
- রকি পর্বতমালা: পশ্চিমের উঁচু পর্বতমালা।
- মিসিসিপি নদী: উত্তর আমেরিকা মহাদেশের বৃহত্তম নদী ব্যবস্থা।
- গ্রেট লেকস: পাঁচটি বৃহৎ হ্রদের সমষ্টি (সুপিরিয়র, মিশিগান, হিউরোন, ইরি, এবং অন্টারিও)।
- মোহাভে মরুভূমি: দক্ষিণ-পশ্চিমের শুষ্ক অঞ্চল।
রাজধানী | জনসংখ্যা (২০২২) | | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মন্টগোমারি | ৫০,২৪২,৭৯০ | | জুনিয়ু | ৭,৩৩,৩৯১ | | ফিনিক্স | ৭০,৭২,১৬২ | | লিটল রক | ৩০,১১,৫২৪ | | স্যাক্রামেন্টো | ৩,৯২,০০,০০০ | | ডেনভার | ৫,৮৩,৯৯২ | | হার্টফোর্ড | ৩,৬,০৫,৯৪৪ | | ডোভের | ৯,৮৯,৯৪৮ | | তাল্লাহাসি | ২,১,৫,৩৮,৮৪৮ | | আটলান্টা | ১০,৯,১২,৮৭৬ | | হনলুলু | ১,৪,৪০,৪৮০ | | বোইসি | ১,৯,৩৭,০৬৫ | | স্প্রিংফিল্ড | ১২,৫,৮২,২৫০ | | ইন্ডিয়ানাপোলিস | ৬,৮,৩,৩০৯ | | ডে ময়েন | ৩,১৯,৫৭,৯৭২ | | টোপেকা | ২,৯,৩৭,৮৮০ | | ফ্রাঙ্কফোর্ট | ৪,৫,০৫,৮৩৬ | | বাটন রুজ | ৪,৬,৫,৭৭৫ | | অগাস্টা | ১,৩৫,০০,০০০ | | অ্যানাপলিস | ৬,১৭,৭২২ | | বোস্টন | ৭,০,২৯,৯১৭ | | ল্যান্সিং | ১০,০,৭৭,৩৩৬ | | সেন্ট পল | ৫,৭০,২৫,২৫২ | | জ্যাকসন | ২৯,৬,১২,৭৯৭ | | জেফারসন সিটি | ৬,১৫,৪৮,৬৭৮ | | হেলেনা | ১,১,০৪,২৭২ | | লিঙ্কন | ১,৯,৬,১৫,০৪৪ | | কারসন সিটি | ৩,১,০৪,৬১৪ | | কনকর্ড | ১,৩৭,৭৫,২৯১ | | ট্রেন্টন | ৯,২৮,৮৯৯ | | সান্টা ফে | ২,১,১৭,০৫১ | | আলবানি | ২০,২০,১২,৮৯৩ | | র্যালি | ১০,৬,৯,৪০৫ | | বিসমাர்க் | ৭,৭৯,০৯৪ | | কলম্বাস | ১১,৭,৯৯,৪৪৭ | | ওকলাহোমা সিটি | ৩,৯,৬,০৬৬ | | সালেম | ৪,২৩,৮৪৫ | | হ্যারিসবার্গ | ১৩,০০,২৭,১০০ | | প্রভিডেন্স | ১,০,৯৭,৩৯৭ | | কলম্বিয়া | ৫,৩,০,৭০৬ | | পিয়েরে | ৯,০০,০০০ | | ন্যাশভিল | ৬,৯,১০,৮৪০ | | অস্টিন | ২৯,১৪,৩৫০ | | সল্ট লেক সিটি | ৩,৩,৩২,৮৯৪ | | মন্টপেলিয়ার | ৬,৪,৫,০৫১ | | রিচমন্ড | ৮,৬,৩,১৩৯ | | অলিম্পিয়া | ৭,৭,৮,৫৭০ | | চার্লস্টন | ১,৭,৯,৩৭৬ | | ম্যাডিসন | ৫,৮,৯,৬৭২ | | শায়েন | ৫,৭,৬,৮৫১ | |
অর্থনীতি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি। এর মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) প্রায় ২৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশটির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিগুলো হলো:
- শিল্প: স্বয়ংক্রিয় শিল্প, মহাকাশ শিল্প, রাসায়নিক শিল্প, ইত্যাদি।
- কৃষি: ভুট্টা, সয়াবিন, গম, তুলা, এবং পশু পালন।
- পরিষেবা খাত: আর্থিক পরিষেবা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, এবং পর্যটন।
- প্রযুক্তি: সিলিকন ভ্যালি ভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো (যেমন, গুগল, অ্যাপল, মাইক্রোসফট) বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারক দেশ। চীনের সাথে দেশটির বৃহত্তম বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে।
রাজনীতি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা একটি ফেডারেল প্রজাতন্ত্র। এখানে তিনটি প্রধান শাখা রয়েছে:
- নির্বাহী শাখা: রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান এবং সরকার প্রধান।
- আইন প্রণয়ন শাখা: কংগ্রেস (সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদ) আইন তৈরি করে।
- বিচার বিভাগ: সুপ্রিম কোর্ট এবং অন্যান্য ফেডারেল আদালত আইন ব্যাখ্যা করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল রয়েছে: ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং রিপাবলিকান পার্টি।
সংস্কৃতি
মার্কিন সংস্কৃতি অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়, যা বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, এবং ঐতিহ্যের সংমিশ্রণে গঠিত। দেশটির সংস্কৃতিতে পশ্চিমা সংস্কৃতি, আফ্রিকান সংস্কৃতি, এবং আদিবাসী আমেরিকান সংস্কৃতির প্রভাব রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক দিক হলো:
- সংগীত: জ্যাজ, ব্লুজ, কান্ট্রি, রক অ্যান্ড রোল, এবং হিপ হপ।
- চলচ্চিত্র: হলিউড চলচ্চিত্র বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
- সাহিত্য: মার্ক টোয়েন, এফ. স্কট ফিটজেরাল্ড, এবং আর্নেস্ট হেমিংওয়ে-এর মতো বিখ্যাত লেখক।
- খাদ্য: বার্গার, হট ডগ, পিজ্জা, এবং ফ্রাইড চিকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় খাবার।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাইনারি অপশন ট্রেডিং বর্তমানে নিয়ন্ত্রিত। পূর্বে কিছু ব্রোকার এই ট্রেডিং সুবিধা প্রদান করলেও, বর্তমানে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (SEC) এবং কমোডিটি ফিউচারস ট্রেডিং কমিশন (CFTC) কর্তৃক এটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। কিছু প্ল্যাটফর্ম এখনো বিদ্যমান থাকলেও, তাদের কার্যক্রম কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
কৌশল ও বিশ্লেষণ: বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ সফল হতে, বিভিন্ন কৌশল এবং বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে উল্লেখ করা হলো:
- টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ: চার্ট প্যাটার্ন, ট্রেন্ড লাইন, এবং indicators ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণের চেষ্টা করা।
- ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ: অর্থনৈতিক সংবাদ, আর্থিক প্রতিবেদন, এবং রাজনৈতিক ঘটনাগুলির প্রভাব বিশ্লেষণ করা।
- ভলিউম বিশ্লেষণ: ট্রেডিং ভলিউমের পরিবর্তন দেখে বাজারের গতিবিধি বোঝা।
- ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: প্রতিটি ট্রেডে ঝুঁকির পরিমাণ নির্ধারণ করা এবং স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করা।
- মানি ম্যানেজমেন্ট: ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের সঠিক ব্যবস্থাপনা করা এবং অতিরিক্ত ঝুঁকি নেওয়া থেকে বিরত থাকা।
গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক:
- সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন
- কমোডিটি ফিউচারস ট্রেডিং কমিশন
- টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ
- ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ
- চার্ট প্যাটার্ন
- ট্রেন্ড লাইন
- মুভিং এভারেজ
- আরএসআই (RSI)
- এমএসিডি (MACD)
- ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট
- ভলিউম ওয়েটেড এভারেজ প্রাইস (VWAP)
- বলিঙ্গার ব্যান্ডস
- ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন
- ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা
- মানি ম্যানেজমেন্ট
- অর্থনৈতিক সূচক
- বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার
- সুদের হার
- মুদ্রাস্ফীতি
- শেয়ার বাজার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি জটিল এবং বহুমাত্রিক দেশ, যার অর্থনীতি, রাজনীতি, এবং সংস্কৃতি বিশ্বজুড়ে প্রভাব ফেলে।
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ