VoIP

VoIP (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল)

ভূমিকা

VoIP (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল) হলো এমন একটি প্রযুক্তি যা ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে ভয়েস কল করার সুবিধা দেয়। এটি প্রচলিত টেলিফোন নেটওয়ার্ক এর বিকল্প হিসেবে কাজ করে এবং ডেটা প্যাকেট ব্যবহার করে ভয়েস ডেটা প্রেরণ করে। Voip এর মাধ্যমে শুধু ভয়েস কল নয়, ভিডিও কনফারেন্সিং, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং এবং অন্যান্য যোগাযোগ সুবিধাও পাওয়া যায়। এই প্রযুক্তি ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক উভয় ক্ষেত্রেই যোগাযোগের খরচ কমিয়ে এনেছে এবং নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

VoIP এর ইতিহাস

VoIP এর ধারণাটি ১৯৮০-এর দশকে শুরু হয়েছিল, কিন্তু ১৯৯০-এর দশকে ইন্টারনেটের উন্নতির সাথে সাথে এটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। প্রথম দিকের VoIP সিস্টেমগুলির মধ্যে একটি ছিল Digital Voice Network (DVN)। ২০০০-এর দশকে Skype, Google Voice এবং অন্যান্য VoIP পরিষেবাগুলির আবির্ভাবের ফলে এটি আরও সহজলভ্য হয়ে ওঠে। বর্তমানে, VoIP প্রযুক্তি ক্লাউড কম্পিউটিং এবং উন্নত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এর সাথে যুক্ত হয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।

VoIP কিভাবে কাজ করে?

VoIP সিস্টেম অ্যানালগ ভয়েস সিগন্যালকে ডিজিটাল ডেটাতে রূপান্তরিত করে। এই ডেটা তারপর ইন্টারনেট প্রোটোকল (IP) ব্যবহার করে প্যাকেট আকারে প্রেরণ করা হয়। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর, ডেটা প্যাকেটগুলি আবার অ্যানালগ ভয়েস সিগন্যালে রূপান্তরিত হয়, যা গ্রাহক শুনতে পান। এই প্রক্রিয়াটিকে সাধারণত তিনটি ধাপে ভাগ করা যায়:

১. অ্যানালগ থেকে ডিজিটাল রূপান্তর: আপনার কণ্ঠস্বরকে প্রথমে অ্যানালগ সিগন্যাল থেকে ডিজিটাল সিগন্যালে পরিবর্তন করা হয়। এই কাজটি একটি কোডেক (Codec) সম্পন্ন করে। ২. প্যাকেটাইজেশন: ডিজিটাল সিগন্যালকে ছোট ছোট ডেটা প্যাকেটে ভাগ করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে প্রেরকের ঠিকানা, গন্তব্যের ঠিকানা এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রণ তথ্য থাকে। ৩. প্রেরণ ও পুনরুদ্ধার: ডেটা প্যাকেটগুলি ইন্টারনেটের মাধ্যমে গন্তব্যের দিকে পাঠানো হয় এবং সেখানে পুনরায় একত্রিত করে অ্যানালগ সিগন্যালে রূপান্তরিত করা হয়।

VoIP এর প্রকারভেদ

VoIP বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে, যা বিভিন্ন ব্যবহারকারীর চাহিদা পূরণ করে। নিচে কয়েকটি প্রধান প্রকার উল্লেখ করা হলো:

• IP ফোন : এটি দেখতে ঐতিহ্যবাহী টেলিফোনের মতোই, কিন্তু এটি সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।
• সফটফোন : এটি একটি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন যা কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে ইনস্টল করা যায় এবং ভয়েস কল করার জন্য ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, Skype, Viber ইত্যাদি।
• VoIP গেটওয়ে : এটি অ্যানালগ টেলিফোন নেটওয়ার্ক এবং VoIP নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে, যা পুরনো টেলিফোন ব্যবহারকারীদের VoIP সিস্টেমে যুক্ত হতে সাহায্য করে।
• ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (VPN): এটি একটি সুরক্ষিত সংযোগ তৈরি করে VoIP ডেটা প্রেরণের জন্য, যা ডেটার গোপনীয়তা নিশ্চিত করে।
• হোস্টেড VoIP: এই ক্ষেত্রে, VoIP পরিষেবা প্রদানকারী সমস্ত হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার পরিচালনা করে, এবং গ্রাহক কেবল পরিষেবাটি ব্যবহার করে।

VoIP এর সুবিধা

VoIP ব্যবহারের অসংখ্য সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো:

• খরচ সাশ্রয়: VoIP কলগুলি ঐতিহ্যবাহী টেলিফোন কলের তুলনায় অনেক সস্তা হয়, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক কলগুলির ক্ষেত্রে।
• উন্নত বৈশিষ্ট্য: VoIP অনেক উন্নত বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে, যেমন কল ফরওয়ার্ডিং, কল ওয়েটিং, ভয়েস মেল, এবং ভিডিও কনফারেন্সিং।
• সহ

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ