ফার্নাンド পেসোয়া

ফার্নাンド পেসোয়া : জীবন, সাহিত্য এবং দর্শন

ফার্নান্দ পেসোয়া বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী এবং জটিল সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৮৮৮ সালের ১৩ জুন লিসবনে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৩৫ সালের ৩০ নভেম্বর সেখানেই মারা যান। পেসোয়াকে আধুনিকতাবাদের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি একাধারে কবি, লেখক, সমালোচক, অনুবাদক এবং দার্শনিক ছিলেন। তবে তার অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো বিভিন্ন ছদ্মনামে (Heteronyms) লেখা। তিনি প্রতিটি ছদ্মনামের জন্য পৃথক জীবন, দর্শন এবং লেখার শৈলী তৈরি করেছিলেন। এই কারণে পেসোয়াকে 'বহু-ব্যক্তিত্বের কবি' বলা হয়।

জীবনকাল

ফার্নান্দ পেসোয়ার জীবন ছিল বেশ জটিল এবং বিষাদময়। তার বাবা, ম্যানুয়েল মারিয়া পেসোয়া, ছিলেন একজন প্রখ্যাত অধ্যাপক এবং লেখক। মায়ের নাম ছিলেন জোসিনা বোর্জেস। পেসোয়ার শৈশব কাটে লিসবনে। তিনি খুব অল্প বয়সেই কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৯০৫ সালে তিনি ব্রিটিশ লাইসিউম থেকে শিক্ষা সমাপ্ত করেন। এরপর তিনি লিসবন বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে পোর্টোতে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন, কিন্তু কোনোটিই শেষ করেননি।

পেসোয়া মূলত পরিবারের অর্থবিত্তের উপর নির্ভরশীল ছিলেন। তিনি কোনো স্থায়ী চাকরি করেননি এবং লিসবনে একটি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তার জীবন ছিল নিঃসঙ্গতা, হতাশা এবং আত্ম-বিশ্লেষণে পরিপূর্ণ। পেসোয়া কখনো বিয়ে করেননি এবং তার কোনো সন্তান ছিল না। ১৯৩৫ সালে অতিরিক্ত মদ্যপান ও অসুস্থতার কারণে তার জীবনাবসান হয়।

ছদ্মনাম (Heteronyms)

ফার্নান্দ পেসোয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো তার ছদ্মনাম বা হেটেরোনিম। তিনি প্রায় ৭০টি বিভিন্ন ছদ্মনাম তৈরি করেছিলেন, যাদের প্রত্যেকের নিজস্ব স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব, লেখার ধরণ এবং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। এই ছদ্মনামগুলো কেবল লেখকের নাম ছিল না, বরং সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র সত্তা হিসেবে বিবেচিত হতো। পেসোয়ার প্রধান কয়েকটি ছদ্মনাম হলো:

• আলবার্তো কেইরোস (Alberto Caeiro): পেসোয়ার প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছদ্মনাম। কেইরোস ছিলেন একজন সরল, প্রকৃতিপ্রেমী কবি। তিনি ইন্দ্রিয় perception-এর মাধ্যমে জগৎকে অনুভব করতেন এবং দার্শনিক জটিলতা থেকে দূরে থাকতেন। তার কবিতা প্রকৃতির বর্ণনা এবং জীবনের সহজ সত্যের প্রতি মনোযোগ দেয়। অনুভূতিবাদ
• রিকার্ডো রেইস (Ricardo Reis): কেইরোসের শিষ্য হিসেবে পরিচিত রেইস ছিলেন একজন ক্লাসিক্যাল ঘরানার কবি। তিনি গ্রিক ও লাতিন সাহিত্যের দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন এবং তার কবিতায় নিয়তিবাদ ও শান্ত জীবনের প্রতি অনুরাগ দেখা যায়। নিয়তিবাদ
• আলভারেস দে ক্যাম্পোস (Álvaro de Campos): পেসোয়ার সবচেয়ে আধুনিক এবং অস্থির ছদ্মনাম। ক্যাম্পোস ছিলেন একজন প্রকৌশলী এবং তার কবিতা গতি, প্রযুক্তি ও আধুনিক জীবনের প্রতি আকৃষ্ট। তিনি ভবিষ্যতের প্রতি আশা ও হতাশা উভয়ই প্রকাশ করতেন। আধুনিকতাবাদ
• বার্নার্ডো সোয়ারেস (Bernardo Soares): পেসোয়ার গদ্য লেখার প্রধান ছদ্মনাম। সোয়ারেস ছিলেন একজন সামান্য কেরানি এবং তার 'Livro do Desassossego' (অস্থিরতার বই) একটি বিখ্যাত গদ্য রচনা, যেখানে তিনি লিসবনের দৈনন্দিন জীবন, একাকিত্ব এবং অস্তিত্বের সংকট নিয়ে লিখেছেন। অস্তিত্ববাদ

ফার্নান্দ পেসোয়ার প্রধান ছদ্মনাম

ছদ্মনাম

বৈশিষ্ট্য

লেখার ধরণ

আলবার্তো কেইরোস

প্রকৃতিপ্রেমী, সরল

কবিতা

রিকার্ডো রেইস

ক্লাসিক্যাল, নিয়তিবাদী

কবিতা

আলভারেস দে ক্যাম্পোস

আধুনিক, অস্থির

কবিতা

বার্নার্ডো সোয়ারেস

কেরানি, দার্শনিক

গদ্য

সাহিত্যকর্ম

ফার্নান্দ পেসোয়ার সাহিত্যকর্ম অত্যন্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ। তিনি কবিতা, গদ্য, নাটক, প্রবন্ধ এবং অনুবাদসহ বিভিন্ন ধারায় লিখেছেন। তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কাজ হলো:

• Mensagem (বার্তা): এটি পেসোয়ার একমাত্র প্রকাশিত কবিতা সংকলন। এই গ্রন্থে পর্তুগালের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কিত প্রতীকী কবিতা রয়েছে। পর্তুগালের ইতিহাস
• Livro do Desassossego (অস্থিরতার বই): বার্নার্ডো সোয়ারেসের লেখা এই বইটি পেসোয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি একটি আধো-আত্মজীবনীমূলক গদ্য রচনা, যেখানে লেখকের মানসিক অবস্থা, লিসবনের জীবন এবং অস্তিত্বের সংকট নিয়ে গভীর আলোচনা করা হয়েছে। আত্মজীবনী
• English Poems I & II (ইংরেজি কবিতা): আলভারেস দে ক্যাম্পোসের লেখা এই কবিতাগুলো আধুনিক ইংরেজি কবিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
• The Book of Disquiet (অশান্তির বই): এটি Livro do Desassossego-এর ইংরেজি অনুবাদ।

পেসোয়ার কবিতা এবং গদ্য উভয় ক্ষেত্রেই ভাষার ব্যবহার অত্যন্ত উদ্ভাবনী এবং চিত্রকল্পময়। তিনি বিভিন্ন ছদ্মনামের মাধ্যমে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে জগৎকে দেখার সুযোগ তৈরি করেছেন, যা তার সাহিত্যকে বিশেষভাবে মূল্যবান করে তুলেছে।

দর্শন

ফার্নান্দ পেসোয়ার দর্শন হলো বহুত্ববাদ (Pluralism)। তিনি মনে করতেন মানুষের সত্তা একটি একক সত্তা নয়, বরং অসংখ্য সত্তার সমষ্টি। প্রতিটি মানুষই বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের ধারক, যা পরিস্থিতি ও সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়। এই ধারণা থেকেই তিনি ছদ্মনাম তৈরি করার অনুপ্রেরণা পান।

পেসোয়ার দর্শনে অস্তিত্ববাদ (Existentialism) এবং নৈরাশ্যবাদের (Nihilism) প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। তিনি জীবনের অর্থহীনতা, মানুষের নিঃসঙ্গতা এবং অস্তিত্বের অনিশ্চয়তা নিয়ে গভীর চিন্তা করেছেন। তবে তিনি কোনো নির্দিষ্ট দার্শনিক মতবাদের অনুসারী ছিলেন না। বরং তিনি নিজের স্বতন্ত্র চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।

পেসোয়ার দর্শন অনুযায়ী, সত্য হলো আপেক্ষিক এবং ব্যক্তিগত। কোনো একটিমাত্র সত্য নেই, বরং প্রতিটি মানুষের কাছে সত্য ভিন্ন হতে পারে। তিনি মনে করতেন, মানুষ নিজেকে জানার চেষ্টা করার মাধ্যমেই জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে পারে। দর্শন

পেসোয়ার প্রভাব

ফার্নান্দ পেসোয়ার সাহিত্য ও দর্শন বিংশ শতাব্দীর অনেক লেখক ও চিন্তাবিদকে প্রভাবিত করেছে। আধুনিক সাহিত্য তার ছদ্মনাম ব্যবহারের ধারণাটি অনেক লেখককে অনুপ্রাণিত করেছে। পেসোয়ার কাজের প্রভাব বিশেষভাবে পর্তুগিজ সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে গভীর।

পেসোয়ার দর্শন অস্তিত্ববাদ, উত্তর-আধুনিকতাবাদ এবং বহুত্ববাদের মতো দার্শনিক চিন্তাধারার বিকাশে সহায়ক হয়েছে। তার লেখাগুলো আজও মানুষের মনে গভীর resonance তৈরি করে এবং অস্তিত্বের মৌলিক প্রশ্নগুলো নিয়ে ভাবতে উৎসাহিত করে।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর সাথে সংযোগ

যদিও ফার্নান্দো পেসোয়া একজন সাহিত্যিক এবং দার্শনিক, তার কাজের কিছু দিক বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর মানসিক এবং কৌশলগত দিকের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।

১. ঝুঁকি মূল্যায়ন (Risk Assessment): পেসোয়ার দর্শনে অনিশ্চয়তা একটি প্রধান বিষয়। বাইনারি অপশন ট্রেডিংও সম্পূর্ণরূপে অনিশ্চিত। সফল ট্রেডারদের মতো, পেসোয়াও জীবনের ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।

২. দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্র্য (Diversity of Perspective): পেসোয়ার বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করে একাধিক দৃষ্টিকোণ থেকে জগৎকে দেখার ক্ষমতা বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ গুরুত্বপূর্ণ। একজন ট্রেডারকে বিভিন্ন মার্কেট পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য ফলাফল বিবেচনা করতে হয়।

৩. আবেগ নিয়ন্ত্রণ (Emotion Control): পেসোয়ার লেখায় প্রায়শই মানসিক অস্থিরতা এবং দ্বন্দ্বের প্রকাশ দেখা যায়। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। আবেগপ্রবণ হয়ে ট্রেড করলে ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়ে।

৪. বিশ্লেষণাত্মক ক্ষমতা (Analytical Skill): পেসোয়ার কবিতা এবং গদ্যে গভীর বিশ্লেষণাত্মক ক্ষমতা দেখা যায়। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ সফল হতে হলে মার্কেট বিশ্লেষণ, চার্ট পড়া এবং বিভিন্ন সূচক (Indicators) বোঝা জরুরি। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ

৫. নিয়তিবাদ বনাম স্বাধীন ইচ্ছা (Fatalism vs. Free Will): পেসোয়ার কিছু ছদ্মনামের লেখায় নিয়তিবাদের প্রভাব দেখা যায়, আবার কিছু ক্ষেত্রে মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ ট্রেডারদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হয়, কিন্তু মার্কেট পরিস্থিতির উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ কম।

৬. সময় ব্যবস্থাপনা (Time Management): পেসোয়ার অস্থির জীবন এবং সময়ের প্রতি তার অনুভূতি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সময়সীমার সাথে সম্পর্কিত। বাইনারি অপশনে ট্রেড করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে, এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

৭. পোর্টফোলিও বৈচিত্র্য (Portfolio Diversification): পেসোয়ার বিভিন্ন ছদ্মনাম অনেকটা পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যের মতো। প্রতিটি ছদ্মনাম এক একটি ভিন্ন সত্তা, যা সামগ্রিকতাকে সমৃদ্ধ করে। তেমনি, বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ বিভিন্ন অ্যাসেটে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকির পরিমাণ কমানো যায়।

৮. ভলিউম বিশ্লেষণ (Volume Analysis): যদিও পেসোয়ার কাজে সরাসরি ভলিউম বিশ্লেষণের উল্লেখ নেই, তবে তার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা মার্কেটের ভলিউম এবং প্রবণতা (Trend) বুঝতে সহায়ক হতে পারে। ভলিউম বিশ্লেষণ

৯. মার্কেট সেন্টিমেন্ট (Market Sentiment): পেসোয়ার লেখায় মানুষের মানসিক অবস্থা এবং সমাজের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ মার্কেট সেন্টিমেন্ট বোঝা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দামের গতিবিধিকে প্রভাবিত করে।

১০. রিস্ক রিওয়ার্ড রেশিও (Risk Reward Ratio): পেসোয়ার জীবন এবং সাহিত্য উভয় ক্ষেত্রেই ঝুঁকির ধারণা বিদ্যমান। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ রিস্ক রিওয়ার্ড রেশিও বিবেচনা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।

১১. টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর (Technical Indicators): পেসোয়ার কাজের জটিলতা টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটরগুলোর মতো, যা মার্কেটের গতিবিধি বুঝতে সাহায্য করে। মুভিং এভারেজ

১২. সাপোর্ট এবং রেজিস্টেন্স (Support and Resistance): পেসোয়ার দর্শন জীবনের বিভিন্ন স্তরের মতো, যেখানে সাপোর্ট এবং রেজিস্টেন্স লেভেলগুলো গুরুত্বপূর্ণ।

১৩. ট্রেন্ড লাইন (Trend Lines): পেসোয়ার লেখার ধারাগুলো বিভিন্ন ট্রেন্ড লাইনের মতো, যা একটি নির্দিষ্ট দিকে পরিচালিত হয়।

১৪. ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন (Candlestick Patterns): পেসোয়ার বিভিন্ন ছদ্মনামের বৈশিষ্ট্যগুলো ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নের মতো, যা মার্কেটের সম্ভাব্য মুভমেন্ট নির্দেশ করে। ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন

১৫. ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট (Fibonacci Retracement): পেসোয়ার কাজের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট অনুপাত এবং ছন্দ খুঁজে পাওয়া যায়, যা ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্টের ধারণার সাথে সম্পর্কিত।

পেসোয়ার জীবন ও কাজ বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে সরাসরি সম্পর্কিত না হলেও, তার দর্শন এবং সাহিত্য থেকে ট্রেডিংয়ের মানসিক এবং কৌশলগত দিকগুলো সম্পর্কে মূল্যবান শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে।

তথ্যসূত্র

• Bloy, Marisa. *Fernando Pessoa: A Biography*. Translated by Pamela Allcott. Carcanet, 2001.
• Pessoa, Fernando. *The Book of Disquiet*. Translated by Richard Zenith. Penguin Classics, 2002.
• Coelho, Eduardo. *Fernando Pessoa*. Tamesis, 1987.

পর্তুগিজ সাহিত্য আধুনিকতাবাদ দার্শনিক কবি লেখক পর্তুগাল লিসবন অস্তিত্ববাদ নৈরাশ্যবাদ বহুত্ববাদ টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ভলিউম বিশ্লেষণ মুভিং এভারেজ ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট অনুভূতিবাদ নিয়তিবাদ আত্মজীবনী পর্তুগালের ইতিহাস অথবা।

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ