নেলসন ম্যান্ডেলা

পরিচিতি

নেলসন ম্যান্ডেলা ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী নেতা। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং দেশটির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ম্যান্ডেলা প্রায় ৬৭ বছর ধরে [[রাজনৈতিক] প্রতিরোধে] যুক্ত ছিলেন এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর জীবন সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং মানবাধিকারের প্রতি অবিচল অঙ্গীকার বিশ্ববাসীকে অনুপ্রাণিত করেছে।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

নেলসন ম্যান্ডেলা ১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপি প্রদেশের এমভেজো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম ছিল রোলিহ্লাহালা ম্যান্ডেলা, যার অর্থ ‘সমস্যার সৃষ্টিকারী’। তিনি থেম্বু রাজপরিবারের সদস্য ছিলেন। ম্যান্ডেলার বাবা ছিলেন স্থানীয় গোত্রপ্রধান, যিনি তাঁকে পশ্চিমা শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করেন।

ম্যান্ডেলা স্থানীয় মিশনারি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন এবং পরে ফোর্ট হ্যার বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৪০ সালে তিনি ফোর্ট হ্যার ইউনিভার্সিটি-তে পড়াশোনা শুরু করেন, কিন্তু পরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার কারণে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। পরবর্তীতে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ আফ্রিকা থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

রাজনৈতিক জীবন

১৯৪4 সালে ম্যান্ডেলা আফ্রিকার জাতীয় কংগ্রেস (ANC)-এর যুব শাখা আফ্রিকার জাতীয় কংগ্রেস যুব লীগ (ANCYL) প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনটি বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। ম্যান্ডেলা বিশ্বাস করতেন যে অহিংস সত্যাগ్రహ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্ণবাদ দূর করা সম্ভব নয়, তাই তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধের পক্ষে মত দেন।

১৯৬১ সালে তিনি উমখোন্তো ওয়ে সিজওয়ে নামে একটি সশস্ত্র শাখা গঠন করেন, যা সরকারি স্থাপনায় স্যাবোটাজ চালানোর মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। ১৯৬৪ সালে ম্যান্ডেলাকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয় এবং পরবর্তী ২৭ বছর তিনি রবেন দ্বীপসহ বিভিন্ন কারাগারে বন্দী জীবন যাপন করেন।

কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় ম্যান্ডেলা আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করেন এবং বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠেন। বিশ্বজুড়ে তাঁর মুক্তির জন্য বিভিন্ন দেশে আন্দোলন শুরু হয়। অবশেষে, ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ম্যান্ডেলা মুক্তি পান।

মুক্তি এবং রাষ্ট্রপতি পদ

মুক্তির পর ম্যান্ডেলা ANC-এর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনা শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম বহুজাতিভিত্তিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ANC ভূমিধস বিজয়ে জয়লাভ করে। ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে ম্যান্ডেলা বর্ণবাদের অবসান ঘটানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি জাতিগত বিভেদ দূর করার লক্ষ্যে reconciliation কমিশন গঠন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তাঁর নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান লাভ করে।

পুরস্কার ও স্বীকৃতি

নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর জীবনকালে অসংখ্য পুরস্কার ও স্বীকৃতি লাভ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

১৯৯৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার (ফ্রেডরিক উইলিয়াম ডি ক্লার্কের সাথে যৌথভাবে)
লেনিন শান্তি পুরস্কার (১৯৯৫)
প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম (২০০২)
বার্থা ভন সুটনার পুরস্কার (১৯৮২)

ব্যক্তিগত জীবন

নেলসন ম্যান্ডেলা তিনবার বিবাহ করেন। তাঁর প্রথম স্ত্রী ছিলেন ইভলিন মasek, তাঁদের সাথে তাঁর সন্তান ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি উইনি ম্যান্ডেলা এবং গ্রাসা ম্যাচলকে বিয়ে করেন। ম্যান্ডেলার ছয়টি সন্তান ছিল।

স্বাস্থ্য ও মৃত্যু

বার্ধক্যজনিত কারণে ম্যান্ডেলা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি সংক্রমণ -এর কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ২০১৪ সালের ৫ ডিসেম্বর জোহানেসবার্গ-এ ৮৬ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন।

ম্যান্ডেলার উত্তরাধিকার

নেলসন ম্যান্ডেলা শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার নন, বিশ্ব মানবতার একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর জীবন ও কর্ম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা। তিনি শিখিয়েছেন কিভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ধৈর্য, সাহস ও আত্মবিশ্বাসের সাথে সংগ্রাম করতে হয়। ম্যান্ডেলার আদর্শ হলো শান্তি, সমতা এবং মানবাধিকার।

নেলসন ম্যান্ডেলার জীবনকাল
বছর	ঘটনা
১৯১৮	১৮ জুলাই, দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করেন
১৯৪৪	আফ্রিকার জাতীয় কংগ্রেস যুব লীগ (ANCYL) প্রতিষ্ঠা করেন
১৯৬১	উমখোন্তো ওয়ে সিজওয়ে প্রতিষ্ঠা করেন
১৯৬৪-১৯৯০	রবেন দ্বীপে বন্দী জীবন যাপন করেন
১৯৯০	১১ ফেব্রুয়ারি, মুক্তি পান
১৯৯৪	দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৯৩	নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন
২০১৪	৫ ডিসেম্বর, মৃত্যু বরণ করেন

বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর সাথে সম্পর্ক (রূপক অর্থে)

নেলসন ম্যান্ডেলার জীবন এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর মধ্যে সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই, তবে কিছু ক্ষেত্রে একটি সাদৃশ্য টানা যেতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই ঝুঁকি এবং সুযোগ বিদ্যমান।

১. **ঝুঁকি মূল্যায়ন (Risk Assessment):** ম্যান্ডেলা যেমন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝুঁকি মূল্যায়ন করে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ বিনিয়োগ করার আগে ঝুঁকির মূল্যায়ন করা জরুরি। প্রতিটি ট্রেডের ফলাফল আগে থেকে জানা যায় না, তাই সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনা করা উচিত। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।

২. **দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি (Long-Term Perspective):** ম্যান্ডেলা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছেন, তাৎক্ষণিক লাভের আশা করেননি। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এও দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের পরিকল্পনা করা উচিত।short-term ট্রেডিং-এর পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদী ট্রেডিং-এ বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। বিনিয়োগ কৌশল সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে।

৩. **ধৈর্য ও অধ্যবসায় (Patience and Perseverance):** ম্যান্ডেলা ২৭ বছর কারাবন্দী থাকা সত্ত্বেও ধৈর্য হারাননি। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এও সফল হতে হলে ধৈর্য এবং অধ্যবসায় প্রয়োজন। लगातार চেষ্টা চালিয়ে গেলে সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ে। মানসিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা খুব জরুরি।

৪. **সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ (Making the Right Decisions):** ম্যান্ডেলা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যা দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ, ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণ এর জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।

৫. **বিভেদ দূরীকরণ (Diversification):** ম্যান্ডেলা যেমন জাতিগত বিভেদ দূর করার চেষ্টা করেছেন, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনা উচিত। বিভিন্ন ধরনের সম্পদে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকির পরিমাণ কমানো যায়। পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

৬. **আবেগ নিয়ন্ত্রণ (Emotion Control):** ম্যান্ডেলা কঠিন পরিস্থিতিতেও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। আবেগপ্রবণ হয়ে ট্রেড করলে ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ট্রেডিং সাইকোলজি সম্পর্কে জ্ঞান এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।

৭. **পরিকল্পনা (Planning):** ম্যান্ডেলা প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এও ট্রেড করার আগে একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। ট্রেডিং প্ল্যান তৈরি করে ট্রেড করলে সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ে।

৮. **বাজার বিশ্লেষণ (Market Analysis):** ম্যান্ডেলা যেমন রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ নিতেন, তেমনি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ বাজার বিশ্লেষণ করা জরুরি। চার্ট প্যাটার্ন এবং ট্রেন্ড লাইন দেখে ভবিষ্যতের গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

৯. **স্টপ লস (Stop Loss):** ম্যান্ডেলা তার লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন, কিন্তু প্রয়োজনে কৌশল পরিবর্তন করতেন। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ স্টপ লস ব্যবহার করে ক্ষতির পরিমাণ সীমিত রাখা যায়। স্টপ লস অর্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।

১০. **টাকার সঠিক ব্যবহার (Money Management):** ম্যান্ডেলা তার সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করেছেন, বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ আপনার পুঁজির সঠিক ব্যবহার করা উচিত। পজিশন সাইজিং এবং রিস্ক রিওয়ার্ড রেশিও সম্পর্কে জানতে হবে।

১১. **শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ (Education and Training):** ম্যান্ডেলা নিজেকে শিক্ষিত করেছেন এবং অন্যদেরও শিক্ষার গুরুত্ব বুঝিয়েছেন। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ সফল হতে হলে ক্রমাগত শিখতে এবং প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ওয়েবিনার এবং টিউটোরিয়াল এর মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করা যেতে পারে।

১২. **সততা (Honesty):** ম্যান্ডেলা সবসময় সৎ ছিলেন, বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ সৎ থাকা এবং ব্রোকারের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করা উচিত। নিয়ন্ত্রিত ব্রোকার নির্বাচন করা নিরাপদ।

১৩. **নেটওয়ার্কিং (Networking):** ম্যান্ডেলা বিভিন্ন মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে সমর্থন আদায় করেছেন, বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ অন্যান্য ট্রেডারদের সাথে যোগাযোগ রাখা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করা উচিত। ফোরাম এবং সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ এ যুক্ত হওয়া যেতে পারে।

১৪. **রেকর্ড রাখা (Record Keeping):** ম্যান্ডেলা তার কাজের হিসাব রাখতেন, বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ প্রতিটি ট্রেডের রেকর্ড রাখা উচিত। ট্রেডিং জার্নাল ব্যবহার করে নিজের ভুলগুলো চিহ্নিত করা যায়।

১৫. **নিয়মকানুন (Regulations):** ম্যান্ডেলা আইন ও নিয়ম মেনে চলতেন, বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রে স্থানীয় নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত থাকা উচিত। সাইপ্রাস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (CySEC) এবং ফিনান্সিয়াল অথরিটি (FSA) এর মতো সংস্থাগুলোর নিয়মকানুন জানা জরুরি।

এই সাদৃশ্যগুলি শুধুমাত্র একটি রূপক উদাহরণ, তবে এটি দেখায় যে জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে সফল হতে হলে কিছু মৌলিক নীতি অনুসরণ করা উচিত।

তথ্যসূত্র

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ