IPS নিয়ম

IPS নিয়ম

বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ IPS (Immediate Profit System) নিয়ম একটি জনপ্রিয় কৌশল। এটি মূলত স্বল্পমেয়াদী ট্রেডিংয়ের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং এর মূল উদ্দেশ্য হল দ্রুত মুনাফা অর্জন করা। এই নিবন্ধে, IPS নিয়মাবলীর বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

ভূমিকা বাইনারি অপশন ট্রেডিং একটি জটিল প্রক্রিয়া, যেখানে বিনিয়োগকারীরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি সম্পদের দাম বাড়বে নাকি কমবে তা অনুমান করে। IPS নিয়ম এমন একটি কৌশল যা এই অনুমান প্রক্রিয়াটিকে সহজ করে তোলে এবং ট্রেডারদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। এই নিয়মগুলি অভিজ্ঞ ট্রেডারদের দ্বারা তৈরি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে, এবং এটি নতুন ট্রেডারদের জন্য একটি ভাল সূচনা বিন্দু হতে পারে।

IPS নিয়মাবলীর মূল ভিত্তি IPS নিয়মাবলীর ভিত্তি হলো কিছু নির্দিষ্ট টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর এবং চার্ট প্যাটার্ন-এর সমন্বয়। এই নিয়মগুলি সাধারণত ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ট্রেড করার জন্য উপযুক্ত। IPS নিয়মের প্রধান উপাদানগুলো হলো:

• মুভিং এভারেজ (Moving Average): মুভিং এভারেজ একটি জনপ্রিয় টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর যা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি সম্পদের গড় মূল্য দেখায়। IPS নিয়মে, সাধারণত ২০-পিরিয়ড এবং ৫০-পিরিয়ড মুভিং এভারেজ ব্যবহার করা হয়।
• রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স (RSI): RSI একটি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর যা একটি সম্পদের অতিরিক্ত ক্রয় বা অতিরিক্ত বিক্রির অবস্থা নির্দেশ করে। IPS নিয়মে, RSI-এর মান ৭০-এর উপরে গেলে ওভারবট (Overbought) এবং ৩০-এর নিচে গেলে ওভারসোল্ড (Oversold) হিসেবে ধরা হয়।
• বলিঙ্গার ব্যান্ডস (Bollinger Bands): বলিঙ্গার ব্যান্ডস একটি ভলাটিলিটি ইন্ডিকেটর যা একটি সম্পদের দামের ওঠানামা পরিমাপ করে। IPS নিয়মে, দাম যখন বলিঙ্গার ব্যান্ডের উপরের ব্যান্ড স্পর্শ করে, তখন বিক্রয় (Sell) এবং যখন নিচের ব্যান্ড স্পর্শ করে, তখন ক্রয় (Buy) করার সংকেত পাওয়া যায়।
• ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন (Candlestick Pattern): ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন হলো চার্টে প্রদর্শিত বিভিন্ন ধরনের ক্যান্ডেলস্টিক ফর্মেশন, যা ভবিষ্যতের মূল্য পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিতে পারে। IPS নিয়মে, বুলিশ এনগালফিং (Bullish Engulfing) এবং বিয়ারিশ এনগালফিং (Bearish Engulfing) প্যাটার্নগুলি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

IPS নিয়মাবলী কিভাবে কাজ করে? IPS নিয়মাবলী মূলত তিনটি প্রধান সংকেতের উপর ভিত্তি করে কাজ করে:

১. ট্রেন্ড নির্ধারণ: প্রথমে, মুভিং এভারেজ ব্যবহার করে মার্কেটের ট্রেন্ড নির্ধারণ করতে হবে। যদি ২০-পিরিয়ড মুভিং এভারেজ ৫০-পিরিয়ড মুভিং এভারেজের উপরে থাকে, তবে এটি একটি আপট্রেন্ড (Uptrend) নির্দেশ করে। অন্যদিকে, যদি ২০-পিরিয়ড মুভিং এভারেজ ৫০-পিরিয়ড মুভিং এভারেজের নিচে থাকে, তবে এটি একটি ডাউনট্রেন্ড (Downtrend) নির্দেশ করে।

২. ওভারবট ও ওভারসোল্ড অবস্থা সনাক্তকরণ: RSI ব্যবহার করে মার্কেটের ওভারবট ও ওভারসোল্ড অবস্থা সনাক্ত করতে হবে। যদি RSI ৭০-এর উপরে যায়, তবে মার্কেট ওভারবট অবস্থায় আছে এবং বিক্রয় করার সুযোগ তৈরি হতে পারে। আবার, যদি RSI ৩০-এর নিচে নেমে যায়, তবে মার্কেট ওভারসোল্ড অবস্থায় আছে এবং ক্রয় করার সুযোগ তৈরি হতে পারে।

৩. ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন নিশ্চিতকরণ: আপট্রেন্ডে বুলিশ এনগালফিং এবং ডাউনট্রেন্ডে বিয়ারিশ এনগালফিং প্যাটার্ন দেখা গেলে, সেই সংকেতটি আরও নিশ্চিতভাবে ট্রেড করার সুযোগ দেয়।

ট্রেডিং নিয়মাবলী IPS নিয়মাবলী অনুসরণ করে ট্রেড করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন রয়েছে:

• ক্রয় সংকেত (Buy Signal):

   *   আপট্রেন্ড থাকতে হবে (২০-পিরিয়ড মুভিং এভারেজ ৫০

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ