উইলিয়াম ফ্রিডকিন

উইলিয়াম ফ্রিডকিন (জন্ম ১৩ আগস্ট, ১৯৪১) হলেন একজন প্রভাবশালী আমেরিকান চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার। তিনি ‘ফ্রেঞ্চ কানেকশন’ (The French Connection, 1971) এবং ‘দ্য এক্সরসিস্ট’ (The Exorcist, 1973) চলচ্চিত্র দুটির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এই দুটি ছবিই বক্স অফিসে বিশাল সাফল্য অর্জন করে এবং চলচ্চিত্র জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। ফ্রিডকিনের কাজের বৈশিষ্ট্য হলো বাস্তববাদের প্রতি মনোযোগ, উদ্ভাবনী ক্যামেরা কৌশল এবং জটিল নৈতিক বিষয়গুলো উপস্থাপন করার ক্ষমতা।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

উইলিয়াম ফ্রিডকিন ১৯৪১ সালে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা-মা দুজনেই ছিলেন ইহুদি। ফ্রিডকিন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং সেখানে তিনি চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহ তৈরি করেন। তিনি ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র বিদ্যালয়ে ভর্তি হন, কিন্তু পড়াশোনা শেষ করার আগে dropout করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে কাজ শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন।

কর্মজীবন

ফ্রিডকিনের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬০-এর দশকে টেলিভিশন পরিচালক হিসেবে। তিনি ‘দ্য আলফ্রেড হিচকক আওয়ার’ (The Alfred Hitchcock Hour) এবং ‘দ্য সানসেট স্ট্রিক’ (The Sunset Strip)-এর মতো জনপ্রিয় টিভি সিরিজে কাজ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি ‘ফ্রেঞ্চ কানেকশন’ পরিচালনা করেন, যা তাঁর প্রথম বড় সাফল্য নিয়ে আসে। ছবিটি পাঁচটি অস্কার জেতে, যার মধ্যে শ্রেষ্ঠ পরিচালক পুরস্কারও ছিল।

এরপর ১৯৭৩ সালে ফ্রিডকিন ‘দ্য এক্সরসিস্ট’ পরিচালনা করেন। ছবিটি সর্বকালের সবচেয়ে ভীতিকর চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হয়। ‘দ্য এক্সরসিস্ট’ বক্স অফিসে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে এবং সংস্কৃতিতে একটি স্থায়ী প্রভাব ফেলে। এই চলচ্চিত্রের জন্য ফ্রিডকিন শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে অস্কার-এর জন্য মনোনীত হন।

ফ্রিডকিনের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সোররার’ (Sorcerer, 1977), ‘ক্রুয়েল ইন্টেনশনস’ (Cruel Intentions, 1999) এবং ‘রুলার অফ দ্য রোড’ (Ruler of the Road, 2002)। তিনি ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেছেন, যেমন ‘দ্য কিলার্স’ (The Killers, 1986)।

চলচ্চিত্র নির্মাণ শৈলী

উইলিয়াম ফ্রিডকিন তাঁর বাস্তববাদী এবং উদ্ভাবনী চলচ্চিত্র নির্মাণ শৈলীর জন্য পরিচিত। তিনি প্রায়শই হাতে ধরা ক্যামেরা (handheld camera) ব্যবহার করেন, যা দর্শকদের একটি অস্থির এবং নিমগ্ন অভিজ্ঞতা দেয়। ‘ফ্রেঞ্চ কানেকশন’ ছবিতে তাঁর এই কৌশল বিশেষভাবে লক্ষণীয়। এছাড়াও, ফ্রিডকিন তাঁর ছবিতে জটিল নৈতিক বিষয় এবং মানুষের অন্ধকার দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি চরিত্রগুলোর মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা এবং তাদের ভেতরের দ্বন্দ্বগুলো অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তোলেন।

ফ্রিডকিনের কাজের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সাউন্ড ডিজাইন। তিনি শব্দকে একটি শক্তিশালী narrative উপাদান হিসেবে ব্যবহার করেন, যা তাঁর চলচ্চিত্রগুলোকে আরও বেশি বাস্তবসম্মত এবং ভীতিকর করে তোলে। ‘দ্য এক্সরসিস্ট’ ছবিতে শব্দের ব্যবহার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যা দর্শকদের মধ্যে গভীর ভীতি সঞ্চার করে।

গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্রসমূহ

উইলিয়াম ফ্রিডকিনের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ
চলচ্চিত্র	বছর	ধারা		ফ্রেঞ্চ কানেকশন	১৯৭১	অপরাধ, থ্রিলার		দ্য এক্সরসিস্ট	১৯৭৩	হরর, থ্রিলার		সোররার	১৯৭৭	অ্যাডভেঞ্চার, থ্রিলার		ক্রুয়েল ইন্টেনশনস	১৯৯৯	ড্রামা, রোমান্স		রুলার অফ দ্য রোড	২০০২	ড্রামা		দ্য কিলার্স	১৯৮৬	ডকুমেন্টারি

ফ্রিডকিনের প্রভাব

উইলিয়াম ফ্রিডকিন চলচ্চিত্র জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছেন। তাঁর কাজের মাধ্যমে অনেক তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ‘ফ্রেঞ্চ কানেকশন’ এবং ‘দ্য এক্সরসিস্ট’ চলচ্চিত্র দুটি আধুনিক থ্রিলার এবং হরর ঘরানার চলচ্চিত্র নির্মাণে নতুন পথ দেখিয়েছে। ফ্রিডকিনের বাস্তববাদী এবং উদ্ভাবনী শৈলী চলচ্চিত্র নির্মাণে নতুন মান তৈরি করেছে।

ফ্রিডকিন চলচ্চিত্র শিক্ষা এবং সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্র বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন এবং চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নতির জন্য কাজ করেছেন।

পুরস্কার ও স্বীকৃতি

উইলিয়াম ফ্রিডকিন তাঁর কর্মজীবনে অসংখ্য পুরস্কার ও স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য অস্কার জিতেছেন এবং আরও অনেক পুরস্কার-এর জন্য মনোনীত হয়েছেন।

একাডেমি পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ পরিচালক) - ফ্রেঞ্চ কানেকশন (১৯৭১)
গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ পরিচালক) - ফ্রেঞ্চ কানেকশন (১৯৭১)
ক্যান চলচ্চিত্র উৎসব - বিশেষ স্বীকৃতি

ব্যক্তিগত জীবন

উইলিয়াম ফ্রিডকিন একাধিকবার বিবাহ করেছেন। তাঁর প্রথম স্ত্রী ছিলেন জুডিথ ফ্রিডকিন, তাঁদের একটি সন্তান রয়েছে। পরবর্তীতে তিনি মেরি-জো মাস্ট্রোয়ান্নিকে বিয়ে করেন।

ফ্রিডকিন এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিং

যদিও উইলিয়াম ফ্রিডকিন চলচ্চিত্র শিল্পের একজন কিংবদন্তি, তবুও এখানে বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে সম্পর্কিত কিছু ধারণা আলোচনা করা হলো:

বাইনারি অপশন ট্রেডিং হলো একটি বিনিয়োগ পদ্ধতি যেখানে বিনিয়োগকারীরা কোনো সম্পদের (যেমন: স্টক, কমোডিটি, কারেন্সি) দাম একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়বে নাকি কমবে তা অনুমান করে। যদি অনুমান সঠিক হয়, তবে বিনিয়োগকারী লাভ পান, অন্যথায় তিনি বিনিয়োগ করা অর্থ হারান।

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা:* বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই, বিনিয়োগকারীদের উচিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কৌশলগুলো ভালোভাবে জানা এবং মেনে চলা। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আরও জানতে এই লিঙ্কটি দেখুন।

টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ:* বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর জন্য টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ব্যবহার করে বাজারের গতিবিধি এবং ভবিষ্যৎ প্রবণতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

ভলিউম বিশ্লেষণ:* ভলিউম বিশ্লেষণ বিনিয়োগকারীদের বাজারের চাহিদা এবং সরবরাহ সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে, যা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক।

ট্রেডিং কৌশল:* বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ বিভিন্ন ধরনের ট্রেডিং কৌশল রয়েছে, যেমন: স্ট্র্যাডল, স্ট্র্যাঙ্গল, বাটারফ্লাই ইত্যাদি। বিনিয়োগকারীদের উচিত নিজেদের অভিজ্ঞতা এবং বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী সঠিক কৌশল নির্বাচন করা।

মানি ম্যানেজমেন্ট:* মানি ম্যানেজমেন্ট হলো বিনিয়োগকারীদের মূলধন রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে।

চার্ট প্যাটার্ন:* চার্ট প্যাটার্নগুলি বাজারের সম্ভাব্য গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।

indicators:* বিভিন্ন ধরনের indicators যেমন মুভিং এভারেজ, আরএসআই, এমএসিডি ইত্যাদি ব্যবহার করে বাজারের প্রবণতা বোঝা যায়।

ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ:* ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ অর্থনৈতিক ডেটা এবং কোম্পানির আর্থিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।

অপশন ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি:* অপশন ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি বিনিয়োগকারীদের সম্ভাব্য লাভজনক ট্রেড খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

বাইনারি অপশন প্ল্যাটফর্ম:* বাইনারি অপশন প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করার সময় নিরাপত্তা, নির্ভরযোগ্যতা এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস বিবেচনা করা উচিত।

সাইকোলজিক্যাল ট্রেডিং:* সাইকোলজিক্যাল ট্রেডিং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে যুক্তিবুদ্ধি সম্পন্ন ট্রেড করতে সাহায্য করে।

মার্কেট সেন্টিমেন্ট:* মার্কেট সেন্টিমেন্ট বাজারের সামগ্রিক মনোভাব বুঝতে সাহায্য করে।

নিউজ ট্রেডিং:* নিউজ ট্রেডিং অর্থনৈতিক খবরের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার একটি কৌশল।

রিক্স রিওয়ার্ড রেশিও:* রিস্ক রিওয়ার্ড রেশিও সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং লাভের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে।

ট্রেডিং জার্নাল:* ট্রেডিং জার্নাল নিজের ট্রেডিং কার্যক্রমের একটি রেকর্ড রাখে, যা পরবর্তীতে বিশ্লেষণ করে ভুলগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করে।

ডাইভারসিফিকেশন:* ডাইভারসিফিকেশন বিভিন্ন ধরনের সম্পদে বিনিয়োগ করে ঝুঁকি কমানোর একটি কৌশল।

এই বিষয়গুলো বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের সাথে সম্পর্কিত, কিন্তু উইলিয়াম ফ্রিডকিনের চলচ্চিত্র নির্মাণের সাথে সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই।

সমালোচনা

উইলিয়াম ফ্রিডকিনের কিছু কাজ সমালোচিতও হয়েছে। ‘দ্য এক্সরসিস্ট’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর অনেক ধর্মীয় গোষ্ঠী এর তীব্র সমালোচনা করে। কেউ কেউ অভিযোগ করেন যে ছবিটি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। এছাড়াও, ফ্রিডকিনের কিছু চলচ্চিত্র সহিংসতা এবং অশালীনতার জন্য সমালোচিত হয়েছে।

উপসংহার

উইলিয়াম ফ্রিডকিন একজন প্রতিভাবান এবং প্রভাবশালী চলচ্চিত্র পরিচালক। তাঁর কাজ চলচ্চিত্র জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে এবং পরবর্তী প্রজন্মের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের অনুপ্রাণিত করেছে। বাস্তববাদ, উদ্ভাবনী কৌশল এবং জটিল নৈতিক বিষয়গুলো উপস্থাপনের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র শিল্পে একটি স্থায়ী স্থান করে নিয়েছেন।

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ