בולিংগার ব্যান্ড: Difference between revisions
(@pipegas_WP) |
(@pipegas_WP) |
||
| Line 1: | Line 1: | ||
בולিংগার ব্যান্ড | |||
ভূমিকা | |||
בולিংগার ব্যান্ড (Bollinger Bands) একটি বহুল ব্যবহৃত [[টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস]] টুল। এটি আর্থিক বাজারের [[মূল্য]] এবং [[ভলিউম]]ের গতিবিধি পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়। জন বুলিংগার ১৯৮০-এর দশকে এই ব্যান্ড তৈরি করেন। এটি মূলত একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাজারের [[স্বাভাবিক মূল্য]]ের পরিসীমা নির্ধারণ করে এবং সেই অনুযায়ী [[ট্রেডিং]]য়ের সংকেত দেয়। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে এই ব্যান্ডগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সম্ভাব্য [[ট্রেড]] চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। | |||
בולিংগার ব্যান্ডের গঠন | |||
בולিংগার ব্যান্ড তিনটি লাইনের সমন্বয়ে গঠিত: | |||
১. মিডল ব্যান্ড (Middle Band): এটি সাধারণত ২০ দিনের [[মুভিং এভারেজ]] (Moving Average)। | |||
২. আপার ব্যান্ড (Upper Band): মিডল ব্যান্ডের উপরে স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন (Standard Deviation) গুণিতক যোগ করে এটি তৈরি করা হয়। | |||
৩. লোয়ার ব্যান্ড (Lower Band): মিডল ব্যান্ড থেকে স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন গুণিতক বিয়োগ করে এটি তৈরি করা হয়। | |||
সাধারণত, স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন ২ ব্যবহার করা হয়, তবে ট্রেডাররা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী এটি পরিবর্তন করতে পারে। | |||
* | ফর্মুলা | ||
* | * মিডল ব্যান্ড = ২০ দিনের সিম্পল মুভিং এভারেজ (SMA) | ||
* | * আপার ব্যান্ড = মিডল ব্যান্ড + (স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন × ২) | ||
* লোয়ার ব্যান্ড = মিডল ব্যান্ড - (স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন × ২) | |||
בולিংগার ব্যান্ডের ব্যবহার | |||
בולিংগার ব্যান্ড বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। নিচে কয়েকটি প্রধান ব্যবহার উল্লেখ করা হলো: | |||
১. ওভারবট (Overbought) এবং ওভারসোল্ড (Oversold) অবস্থা নির্ণয়: | |||
যখন দাম আপার ব্যান্ডের উপরে চলে যায়, তখন এটিকে ওভারবট অবস্থা হিসেবে ধরা হয়। এর অর্থ হলো, শেয়ারটির দাম খুব দ্রুত বেড়েছে এবং এটি সংশোধন হতে পারে। অন্যদিকে, যখন দাম লোয়ার ব্যান্ডের নিচে চলে যায়, তখন এটিকে ওভারসোল্ড অবস্থা হিসেবে ধরা হয়। এর অর্থ হলো, শেয়ারটির দাম খুব দ্রুত কমেছে এবং এটি পুনরুদ্ধার হতে পারে। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে, এই সংকেতগুলি [[কল অপশন]] (Call Option) এবং [[পুট অপশন]] (Put Option) কেনার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। | |||
২. ব্রেকআউট (Breakout) সনাক্তকরণ: | |||
যখন দাম ব্যান্ডের বাইরে ব্রেকআউট করে, তখন এটি একটি শক্তিশালী [[ট্রেন্ড]]ের ইঙ্গিত দেয়। যদি দাম আপার ব্যান্ডের উপরে ব্রেকআউট করে, তবে এটি একটি বুলিশ (Bullish) ট্রেন্ডের ইঙ্গিত দেয়, এবং যদি দাম লোয়ার ব্যান্ডের নিচে ব্রেকআউট করে, তবে এটি একটি বেয়ারিশ (Bearish) ট্রেন্ডের ইঙ্গিত দেয়। | |||
৩. স্কুইজ (Squeeze) সনাক্তকরণ: | |||
যখন ব্যান্ডগুলি কাছাকাছি আসে, তখন এটিকে স্কুইজ বলা হয়। স্কুইজ সাধারণত বাজারের [[স্থিতিশীলতা]] নির্দেশ করে। এই অবস্থায়, দাম যেকোনো দিকে দ্রুত মুভ করতে পারে। স্কুইজের পরে সাধারণত একটি শক্তিশালী [[মূল্য মুভমেন্ট]] দেখা যায়। | |||
৪. ডাবল বটম/টপ (Double Bottom/Top) সনাক্তকরণ: | |||
בולিংগার ব্যান্ড ব্যবহার করে ডাবল বটম এবং ডাবল টপ প্যাটার্নগুলিও সনাক্ত করা যেতে পারে, যা [[রিভার্সাল]] সংকেত প্রদান করে। | |||
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে বולিংগার ব্যান্ডের প্রয়োগ | |||
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে বולিংগার ব্যান্ড একটি শক্তিশালী টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নিচে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো: | |||
১. আপার ব্যান্ড স্পর্শ করলে পুট অপশন: | |||
যদি দাম আপার ব্যান্ড স্পর্শ করে, তবে এটি একটি পুট অপশনের সংকেত দেয়। কারণ এটি ইঙ্গিত করে যে শেয়ারটির দাম সংশোধন হতে পারে। | |||
২. লোয়ার ব্যান্ড স্পর্শ করলে কল অপশন: | |||
যদি দাম লোয়ার ব্যান্ড স্পর্শ করে, তবে এটি একটি কল অপশনের সংকেত দেয়। কারণ এটি ইঙ্গিত করে যে শেয়ারটির দাম পুনরুদ্ধার হতে পারে। | |||
৩. ব্রেকআউটের উপর ট্রেড: | |||
যদি দাম আপার ব্যান্ড ব্রেকআউট করে, তবে একটি কল অপশন কেনা যেতে পারে। যদি দাম লোয়ার ব্যান্ড ব্রেকআউট করে, তবে একটি পুট অপশন কেনা যেতে পারে। | |||
৪. স্কুইজের পরে ট্রেড: | |||
একটি | স্কুইজের পরে, দামের দিক নিশ্চিত হয়ে কল বা পুট অপশন কেনা যেতে পারে। | ||
অন্যান্য টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর-এর সাথে সমন্বয় | |||
בולিংগার ব্যান্ডকে আরও কার্যকরী করার জন্য, এটিকে অন্যান্য [[টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর]]-এর সাথে সমন্বয় করা উচিত। নিচে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো: | |||
১. মুভিং এভারেজ (Moving Average): | |||
בולিংগার ব্যান্ডের সাথে মুভিং এভারেজ ব্যবহার করে ট্রেন্ডের দিক নিশ্চিত করা যায়। | |||
২. রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইন্ডেক্স (RSI): | |||
RSI-এর সাথে বולিংগার ব্যান্ড ব্যবহার করে ওভারবট এবং ওভারসোল্ড অবস্থা আরও নিশ্চিতভাবে নির্ণয় করা যায়। | |||
৩. MACD: | |||
MACD-এর সাথে বולিংগার ব্যান্ড ব্যবহার করে ট্রেডিংয়ের সংকেতগুলিকে আরও শক্তিশালী করা যায়। | |||
৪. ভলিউম (Volume): | |||
[[ভলিউম]] বিশ্লেষণের মাধ্যমে ব্রেকআউটের সত্যতা যাচাই করা যায়। যদি ব্রেকআউটের সময় ভলিউম বেশি থাকে, তবে এটি একটি শক্তিশালী সংকেত। | |||
בולিংগার ব্যান্ডের সীমাবদ্ধতা | |||
בולিংগার ব্যান্ডের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যা ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে: | |||
১. ভুল সংকেত (False Signals): | |||
কখনও কখনও বולিংগার ব্যান্ড ভুল সংকেত দিতে পারে, বিশেষ করে বাজারের অস্থির (Volatile) সময়ে। | |||
২. ল্যাগিং ইন্ডিকেটর (Lagging Indicator): | |||
এটি একটি ল্যাগিং ইন্ডিকেটর, অর্থাৎ এটি মূল্যের পরিবর্তনের পরে সংকেত দেয়। | |||
৩. সঠিক প্যারামিটার নির্বাচন: | |||
সঠিক প্যারামিটার (যেমন স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন) নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। ভুল প্যারামিটার নির্বাচন করলে ভুল সংকেত পাওয়া যেতে পারে। | |||
উদাহরণ | |||
ধরা যাক, একটি শেয়ারের দাম বর্তমানে ১০০ টাকা। ২০ দিনের মুভিং এভারেজ হলো ৯০ টাকা এবং স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন হলো ৫ টাকা। সেক্ষেত্রে, | |||
* মিডল ব্যান্ড = ৯০ টাকা | |||
* আপার ব্যান্ড = ৯০ + (৫ × ২) = ১০০ টাকা | |||
* লোয়ার ব্যান্ড = ৯০ - (৫ × ২) = ৮০ টাকা | |||
যদি শেয়ারটির দাম ১০০ টাকার উপরে যায়, তবে এটি ওভারবট হিসেবে বিবেচিত হবে এবং একটি পুট অপশন কেনার সুযোগ তৈরি হতে পারে। | |||
উপসংহার | |||
בולিংগার ব্যান্ড একটি শক্তিশালী [[টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস]] টুল, যা বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত প্রদান করে। তবে, এটি অন্যান্য ইন্ডিকেটর-এর সাথে সমন্বয় করে ব্যবহার করা উচিত এবং এর সীমাবদ্ধতাগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। সঠিক জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে, বולিংগার ব্যান্ড ব্যবহার করে সফল ট্রেডিং করা সম্ভব। | |||
{| class="wikitable" | {| class="wikitable" | ||
|+ | |+ বולিংগার ব্যান্ডের প্যারামিটার | ||
|- | |||
| প্যারামিটার || মান || ব্যবহার | |||
|- | |- | ||
| | | মিডল ব্যান্ড || ২০ দিনের SMA || মূল ভিত্তি | ||
|- | |- | ||
| | | আপার ব্যান্ড || মিডল ব্যান্ড + (২ × স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন) || ওভারবট অবস্থা নির্ণয় | ||
|- | |- | ||
| স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন || | | লোয়ার ব্যান্ড || মিডল ব্যান্ড - (২ × স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন) || ওভারসোল্ড অবস্থা নির্ণয় | ||
|- | |- | ||
| | | স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন || সাধারণত ২ || ব্যান্ডের প্রস্থ নির্ধারণ | ||
|} | |} | ||
আরও জানতে: | আরও জানতে: | ||
* [[ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন]] | |||
* [[ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট]] | |||
* [[সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স]] | |||
* [[ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি]] | |||
* [[ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা]] | |||
* [[মানি ম্যানেজমেন্ট]] | |||
* [[বাইনারি অপশন ট্রেডিং]] | |||
* [[ফরেক্স ট্রেডিং]] | |||
* [[শেয়ার বাজার]] | |||
* [[টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর]] | |||
* [[মুভিং এভারেজ]] | |||
* [[রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইন্ডেক্স]] | |||
* [[MACD]] | |||
* [[ভলিউম বিশ্লেষণ]] | |||
* [[চার্ট প্যাটার্ন]] | |||
* [[ট্রেন্ড লাইন]] | |||
* [[ওয়েভ থিওরি]] | |||
* [[এলিয়ট ওয়েভ থিওরি]] | |||
* [[ডাউন ট্রেন্ড]] | |||
* [[আপট্রেন্ড]] | |||
[[Category:টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস]] | |||
[[Category: | |||
== এখনই ট্রেডিং শুরু করুন == | == এখনই ট্রেডিং শুরু করুন == | ||
Latest revision as of 08:23, 24 April 2025
בולিংগার ব্যান্ড
ভূমিকা בולিংগার ব্যান্ড (Bollinger Bands) একটি বহুল ব্যবহৃত টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস টুল। এটি আর্থিক বাজারের মূল্য এবং ভলিউমের গতিবিধি পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়। জন বুলিংগার ১৯৮০-এর দশকে এই ব্যান্ড তৈরি করেন। এটি মূলত একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাজারের স্বাভাবিক মূল্যের পরিসীমা নির্ধারণ করে এবং সেই অনুযায়ী ট্রেডিংয়ের সংকেত দেয়। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে এই ব্যান্ডগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সম্ভাব্য ট্রেড চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
בולিংগার ব্যান্ডের গঠন בולিংগার ব্যান্ড তিনটি লাইনের সমন্বয়ে গঠিত: ১. মিডল ব্যান্ড (Middle Band): এটি সাধারণত ২০ দিনের মুভিং এভারেজ (Moving Average)। ২. আপার ব্যান্ড (Upper Band): মিডল ব্যান্ডের উপরে স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন (Standard Deviation) গুণিতক যোগ করে এটি তৈরি করা হয়। ৩. লোয়ার ব্যান্ড (Lower Band): মিডল ব্যান্ড থেকে স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন গুণিতক বিয়োগ করে এটি তৈরি করা হয়।
সাধারণত, স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন ২ ব্যবহার করা হয়, তবে ট্রেডাররা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী এটি পরিবর্তন করতে পারে।
ফর্মুলা
- মিডল ব্যান্ড = ২০ দিনের সিম্পল মুভিং এভারেজ (SMA)
- আপার ব্যান্ড = মিডল ব্যান্ড + (স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন × ২)
- লোয়ার ব্যান্ড = মিডল ব্যান্ড - (স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন × ২)
בולিংগার ব্যান্ডের ব্যবহার בולিংগার ব্যান্ড বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। নিচে কয়েকটি প্রধান ব্যবহার উল্লেখ করা হলো:
১. ওভারবট (Overbought) এবং ওভারসোল্ড (Oversold) অবস্থা নির্ণয়: যখন দাম আপার ব্যান্ডের উপরে চলে যায়, তখন এটিকে ওভারবট অবস্থা হিসেবে ধরা হয়। এর অর্থ হলো, শেয়ারটির দাম খুব দ্রুত বেড়েছে এবং এটি সংশোধন হতে পারে। অন্যদিকে, যখন দাম লোয়ার ব্যান্ডের নিচে চলে যায়, তখন এটিকে ওভারসোল্ড অবস্থা হিসেবে ধরা হয়। এর অর্থ হলো, শেয়ারটির দাম খুব দ্রুত কমেছে এবং এটি পুনরুদ্ধার হতে পারে। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে, এই সংকেতগুলি কল অপশন (Call Option) এবং পুট অপশন (Put Option) কেনার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
২. ব্রেকআউট (Breakout) সনাক্তকরণ: যখন দাম ব্যান্ডের বাইরে ব্রেকআউট করে, তখন এটি একটি শক্তিশালী ট্রেন্ডের ইঙ্গিত দেয়। যদি দাম আপার ব্যান্ডের উপরে ব্রেকআউট করে, তবে এটি একটি বুলিশ (Bullish) ট্রেন্ডের ইঙ্গিত দেয়, এবং যদি দাম লোয়ার ব্যান্ডের নিচে ব্রেকআউট করে, তবে এটি একটি বেয়ারিশ (Bearish) ট্রেন্ডের ইঙ্গিত দেয়।
৩. স্কুইজ (Squeeze) সনাক্তকরণ: যখন ব্যান্ডগুলি কাছাকাছি আসে, তখন এটিকে স্কুইজ বলা হয়। স্কুইজ সাধারণত বাজারের স্থিতিশীলতা নির্দেশ করে। এই অবস্থায়, দাম যেকোনো দিকে দ্রুত মুভ করতে পারে। স্কুইজের পরে সাধারণত একটি শক্তিশালী মূল্য মুভমেন্ট দেখা যায়।
৪. ডাবল বটম/টপ (Double Bottom/Top) সনাক্তকরণ: בולিংগার ব্যান্ড ব্যবহার করে ডাবল বটম এবং ডাবল টপ প্যাটার্নগুলিও সনাক্ত করা যেতে পারে, যা রিভার্সাল সংকেত প্রদান করে।
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে বולিংগার ব্যান্ডের প্রয়োগ বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে বולিংগার ব্যান্ড একটি শক্তিশালী টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নিচে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো:
১. আপার ব্যান্ড স্পর্শ করলে পুট অপশন: যদি দাম আপার ব্যান্ড স্পর্শ করে, তবে এটি একটি পুট অপশনের সংকেত দেয়। কারণ এটি ইঙ্গিত করে যে শেয়ারটির দাম সংশোধন হতে পারে।
২. লোয়ার ব্যান্ড স্পর্শ করলে কল অপশন: যদি দাম লোয়ার ব্যান্ড স্পর্শ করে, তবে এটি একটি কল অপশনের সংকেত দেয়। কারণ এটি ইঙ্গিত করে যে শেয়ারটির দাম পুনরুদ্ধার হতে পারে।
৩. ব্রেকআউটের উপর ট্রেড: যদি দাম আপার ব্যান্ড ব্রেকআউট করে, তবে একটি কল অপশন কেনা যেতে পারে। যদি দাম লোয়ার ব্যান্ড ব্রেকআউট করে, তবে একটি পুট অপশন কেনা যেতে পারে।
৪. স্কুইজের পরে ট্রেড: স্কুইজের পরে, দামের দিক নিশ্চিত হয়ে কল বা পুট অপশন কেনা যেতে পারে।
অন্যান্য টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর-এর সাথে সমন্বয় בולিংগার ব্যান্ডকে আরও কার্যকরী করার জন্য, এটিকে অন্যান্য টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর-এর সাথে সমন্বয় করা উচিত। নিচে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো:
১. মুভিং এভারেজ (Moving Average): בולিংগার ব্যান্ডের সাথে মুভিং এভারেজ ব্যবহার করে ট্রেন্ডের দিক নিশ্চিত করা যায়।
২. রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইন্ডেক্স (RSI): RSI-এর সাথে বולিংগার ব্যান্ড ব্যবহার করে ওভারবট এবং ওভারসোল্ড অবস্থা আরও নিশ্চিতভাবে নির্ণয় করা যায়।
৩. MACD: MACD-এর সাথে বולিংগার ব্যান্ড ব্যবহার করে ট্রেডিংয়ের সংকেতগুলিকে আরও শক্তিশালী করা যায়।
৪. ভলিউম (Volume): ভলিউম বিশ্লেষণের মাধ্যমে ব্রেকআউটের সত্যতা যাচাই করা যায়। যদি ব্রেকআউটের সময় ভলিউম বেশি থাকে, তবে এটি একটি শক্তিশালী সংকেত।
בולিংগার ব্যান্ডের সীমাবদ্ধতা בולিংগার ব্যান্ডের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যা ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে:
১. ভুল সংকেত (False Signals): কখনও কখনও বולিংগার ব্যান্ড ভুল সংকেত দিতে পারে, বিশেষ করে বাজারের অস্থির (Volatile) সময়ে।
২. ল্যাগিং ইন্ডিকেটর (Lagging Indicator): এটি একটি ল্যাগিং ইন্ডিকেটর, অর্থাৎ এটি মূল্যের পরিবর্তনের পরে সংকেত দেয়।
৩. সঠিক প্যারামিটার নির্বাচন: সঠিক প্যারামিটার (যেমন স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন) নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। ভুল প্যারামিটার নির্বাচন করলে ভুল সংকেত পাওয়া যেতে পারে।
উদাহরণ ধরা যাক, একটি শেয়ারের দাম বর্তমানে ১০০ টাকা। ২০ দিনের মুভিং এভারেজ হলো ৯০ টাকা এবং স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন হলো ৫ টাকা। সেক্ষেত্রে,
- মিডল ব্যান্ড = ৯০ টাকা
- আপার ব্যান্ড = ৯০ + (৫ × ২) = ১০০ টাকা
- লোয়ার ব্যান্ড = ৯০ - (৫ × ২) = ৮০ টাকা
যদি শেয়ারটির দাম ১০০ টাকার উপরে যায়, তবে এটি ওভারবট হিসেবে বিবেচিত হবে এবং একটি পুট অপশন কেনার সুযোগ তৈরি হতে পারে।
উপসংহার בולিংগার ব্যান্ড একটি শক্তিশালী টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস টুল, যা বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত প্রদান করে। তবে, এটি অন্যান্য ইন্ডিকেটর-এর সাথে সমন্বয় করে ব্যবহার করা উচিত এবং এর সীমাবদ্ধতাগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। সঠিক জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে, বולিংগার ব্যান্ড ব্যবহার করে সফল ট্রেডিং করা সম্ভব।
| প্যারামিটার | মান | ব্যবহার |
| মিডল ব্যান্ড | ২০ দিনের SMA | মূল ভিত্তি |
| আপার ব্যান্ড | মিডল ব্যান্ড + (২ × স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন) | ওভারবট অবস্থা নির্ণয় |
| লোয়ার ব্যান্ড | মিডল ব্যান্ড - (২ × স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন) | ওভারসোল্ড অবস্থা নির্ণয় |
| স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন | সাধারণত ২ | ব্যান্ডের প্রস্থ নির্ধারণ |
আরও জানতে:
- ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন
- ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট
- সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স
- ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি
- ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা
- মানি ম্যানেজমেন্ট
- বাইনারি অপশন ট্রেডিং
- ফরেক্স ট্রেডিং
- শেয়ার বাজার
- টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর
- মুভিং এভারেজ
- রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইন্ডেক্স
- MACD
- ভলিউম বিশ্লেষণ
- চার্ট প্যাটার্ন
- ট্রেন্ড লাইন
- ওয়েভ থিওরি
- এলিয়ট ওয়েভ থিওরি
- ডাউন ট্রেন্ড
- আপট্রেন্ড
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
