অর্থায়ন কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ

অর্থায়ন কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ

ভূমিকা নগদ প্রবাহ বিবরণী একটি আর্থিক বিবরণী যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি কোম্পানির নগদ আগম এবং ব্যয় দেখায়। এই বিবরণীটি তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত: পরিচালন কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ, বিনিয়োগ কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ এবং অর্থায়ন কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ। এই নিবন্ধে, আমরা অর্থায়ন কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

অর্থায়ন কার্যক্রম অর্থায়ন কার্যক্রমগুলি হল সেই কার্যক্রম যা কোম্পানির মূলধন কাঠামো এবং লভ্যাংশ পরিশোধের সাথে সম্পর্কিত। এই কার্যক্রমগুলির মধ্যে রয়েছে ঋণ গ্রহণ এবং পরিশোধ, শেয়ার ইস্যু এবং পুনर्खরিদ, এবং লভ্যাংশ প্রদান।

অর্থায়ন কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহের উপাদান অর্থায়ন কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহের প্রধান উপাদানগুলি নিচে উল্লেখ করা হলো:

• ঋণ গ্রহণ: ব্যাংক বা অন্যান্য উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ করলে নগদ প্রবাহ বিবরণীতে এটি নগদ আগমন হিসেবে দেখানো হয়।
• ঋণ পরিশোধ: ঋণ পরিশোধ করলে এটি নগদ প্রবাহ বিবরণীতে নগদ নির্গমন হিসেবে দেখানো হয়।
• শেয়ার ইস্যু: নতুন শেয়ার ইস্যু করে কোম্পানি অর্থ সংগ্রহ করলে, তা নগদ প্রবাহ বিবরণীতে নগদ আগমন হিসেবে দেখানো হয়।
• শেয়ার পুনर्खরিদ: কোম্পানি তার নিজের শেয়ার বাজার থেকে কিনে নিলে, তা নগদ প্রবাহ বিবরণীতে নগদ নির্গমন হিসেবে দেখানো হয়।
• লভ্যাংশ প্রদান: শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করলে, তা নগদ প্রবাহ বিবরণীতে নগদ নির্গমন হিসেবে দেখানো হয়।

অর্থায়ন কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহের উদাহরণ একটি উদাহরণস্বরূপ, ধরা যাক একটি কোম্পানি ব্যাংক থেকে ১,০০,০০০ টাকা ঋণ নিয়েছে, ৫০,০০০ টাকার শেয়ার ইস্যু করেছে এবং ২০,০০০ টাকা লভ্যাংশ প্রদান করেছে। এই ক্ষেত্রে, অর্থায়ন কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ হবে:

• ঋণ গ্রহণ: ১,০০,০০০ টাকা (নগদ আগমন)
• শেয়ার ইস্যু: ৫০,০০০ টাকা (নগদ আগমন)
• লভ্যাংশ প্রদান: ২০,০০০ টাকা (নগদ নির্গমন)

সুতরাং, অর্থায়ন কার্যক্রম থেকে মোট নগদ প্রবাহ হবে ১,০০,০০০ + ৫০,০০০ - ২০,০০০ = ১,৩০,০০০ টাকা।

সরাসরি এবং পরোক্ষ পদ্ধতি অর্থায়ন কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ হিসাব করার জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে: সরাসরি পদ্ধতি এবং পরোক্ষ পদ্ধতি।

• সরাসরি পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে, কোম্পানির নগদ আগমন এবং নির্গমন সরাসরি হিসাব করা হয়।
• পরোক্ষ পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে, নিট আয় থেকে শুরু করে অ-নগদ লেনদেনগুলি যোগ বা বিয়োগ করে নগদ প্রবাহ হিসাব করা হয়।

বেশিরভাগ কোম্পানি পরোক্ষ পদ্ধতি ব্যবহার করে, কারণ এটি সহজ এবং সুবিধাজনক।

নগদ প্রবাহ বিবরণীর গুরুত্ব নগদ প্রবাহ বিবরণী বিনিয়োগকারী, ঋণদাতা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিম্নলিখিত তথ্য সরবরাহ করে:

• কোম্পানির নগদ তৈরি এবং ব্যবহারের ক্ষমতা।
• কোম্পানির ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা।
• কোম্পানির লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষমতা।
• কোম্পানির ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে সম্পর্ক যদিও নগদ প্রবাহ বিবরণী সরাসরি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে সম্পর্কিত নয়, তবে এটি কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্য এবং স্থিতিশীলতা মূল্যায়ন করতে সহায়ক। একটি শক্তিশালী নগদ প্রবাহ বিবরণী নির্দেশ করে যে কোম্পানিটি লাভজনক এবং তার আর্থিক বাধ্যবাধকতা পূরণে সক্ষম। এই তথ্য বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রে অন্তর্নিহিত সম্পদের মূল্যায়ন করতে সহায়ক হতে পারে।

কৌশল এবং বিশ্লেষণ

• ভলিউম বিশ্লেষণ: ভলিউম বিশ্লেষণ ব্যবহার করে, একজন ব্যবসায়ী বুঝতে পারে যে বাজারের অংশগ্রহণকারীরা কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ সম্পর্কে কতটা আগ্রহী।
• টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ: টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ চার্ট এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে ভবিষ্যতের মূল্য নির্ধারণের চেষ্টা করে।
• ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ: ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ কোম্পানির আর্থিক বিবরণী, শিল্পের অবস্থা এবং সামগ্রিক অর্থনীতি বিশ্লেষণ করে।
• ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশলগুলি ব্যবহার করে সম্ভাব্য ক্ষতি কমানো যায়।
• পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যকরণ: পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যকরণ বিভিন্ন সম্পদে বিনিয়োগ করে ঝুঁকি কমানো যায়।
• মূল্য মুভমেন্ট কৌশল: মূল্য মুভমেন্ট কৌশল ব্যবহার করে বাজারের প্রবণতা বোঝা যায়।
• ব্রেকইভেন বিশ্লেষণ: ব্রেকইভেন বিশ্লেষণ বিনিয়োগের লাভজনকতা নির্ধারণ করে।
• সমর্থন এবং প্রতিরোধ স্তর: সমর্থন এবং প্রতিরোধ স্তর চিহ্নিত করে ট্রেডিংয়ের সুযোগ খুঁজে বের করা যায়।
• ট্রেন্ড লাইন বিশ্লেষণ: ট্রেন্ড লাইন বিশ্লেষণ বাজারের দিকনির্দেশনা বুঝতে সাহায্য করে।
• মুভিং এভারেজ: মুভিং এভারেজ ব্যবহার করে বাজারের গড় মূল্য বোঝা যায়।
• আরএসআই (Relative Strength Index): আরএসআই একটি গতি নির্দেশক যা অতিরিক্ত কেনা বা বিক্রির অবস্থা নির্দেশ করে।
• এমএসিডি (Moving Average Convergence Divergence): এমএসিডি দুটি মুভিং এভারেজের মধ্যে সম্পর্ক দেখায়।
• বলিঙ্গার ব্যান্ড: বলিঙ্গার ব্যান্ড বাজারের অস্থিরতা পরিমাপ করে।
• ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট: ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট সম্ভাব্য সমর্থন এবং প্রতিরোধ স্তর চিহ্নিত করে।
• ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন: ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন বাজারের sentiment বুঝতে সাহায্য করে।

উপসংহার অর্থায়ন কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ একটি কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এই বিবরণীটি বিনিয়োগকারী এবং ঋণদাতাদের কোম্পানির মূলধন কাঠামো, লভ্যাংশ পরিশোধ এবং ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করে। নগদ প্রবাহ বিবরণীর সঠিক বিশ্লেষণ একটি কোম্পানির আর্থিক অবস্থা মূল্যায়ন করতে এবং সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক।

অর্থায়ন কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহের উদাহরণ

কার্যক্রম	নগদ প্রবাহ (টাকা)
ঋণ গ্রহণ	১,০০,০০০ (আগম)
শেয়ার ইস্যু	৫০,০০০ (আগম)
লভ্যাংশ প্রদান	২০,০০০ (নির্গমন)
শেয়ার পুনर्खরিদ	৩০,০০০ (নির্গমন)
ঋণ পরিশোধ	৪০,০০০ (নির্গমন)
মোট নগদ প্রবাহ	১,৩০,০০০

আর্থিক বিবরণী নগদ প্রবাহ বিবরণী পরিচালন কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ বিনিয়োগ কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ মূলধন কাঠামো লভ্যাংশ শেয়ার আগম ব্যয় নিট আয় প্রবৃদ্ধি বিনিয়োগকারী ঋণদাতা সরাসরি পদ্ধতি পরোক্ষ পদ্ধতি ভলিউম বিশ্লেষণ টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যকরণ মূল্য মুভমেন্ট কৌশল ব্রেকইভেন বিশ্লেষণ সমর্থন এবং প্রতিরোধ স্তর ট্রেন্ড লাইন বিশ্লেষণ মুভিং এভারেজ আরএসআই (Relative Strength Index) এমএসিডি (Moving Average Convergence Divergence) বলিঙ্গার ব্যান্ড ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন

অথবা 

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ