Monetarist মডেল: Difference between revisions
(@pipegas_WP) |
(@CategoryBot: Оставлена одна категория) |
||
| Line 128: | Line 128: | ||
* [[অর্থনৈতিক পূর্বাভাস]] | * [[অর্থনৈতিক পূর্বাভাস]] | ||
== এখনই ট্রেডিং শুরু করুন == | == এখনই ট্রেডিং শুরু করুন == | ||
| Line 140: | Line 138: | ||
✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি | ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি | ||
✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ | ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ | ||
[[Category:অর্থনীতি]] | |||
Latest revision as of 11:30, 6 May 2025
thumb|right|250px|অর্থ সরবরাহের বক্ররেখা
মুদ্রাবাদী মডেল
ভূমিকা
মুদ্রাবাদী মডেল অর্থনীতির একটি প্রভাবশালী তত্ত্ব যা অর্থ সরবরাহ এবং মুদ্রাস্ফীতি-এর মধ্যে সম্পর্ককে কেন্দ্র করে গঠিত। এই মডেলটি মনে করে যে অর্থনীতির সামগ্রিক কার্যকলাপ মূলত অর্থ সরবরাহের দ্বারা নির্ধারিত হয়। মিলটন ফ্রিডম্যান এই তত্ত্বের প্রধান প্রবক্তা। মুদ্রাবাদী অর্থনীতিবিদরা বিশ্বাস করেন যে, অর্থের যোগান নিয়ন্ত্রণ করে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন করা সম্ভব। এই নিবন্ধে, মুদ্রাবাদী মডেলের মূল ধারণা, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, নীতিগত প্রভাব এবং আধুনিক অর্থনীতিতে এর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
মুদ্রাবাদী চিন্তাধারার মূল ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল ১৯ শতকের শেষ দিকে এবং ২০ শতকের শুরুতে। ডেভিড রিকার্ডো, কার্ল মার্ক্স এবং Irving Fisher -এর মতো অর্থনীতিবিদরা অর্থের পরিমাণ তত্ত্বের ওপর কাজ করেন। তবে, ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে মিলটন ফ্রিডম্যান এবং তার অনুসারীরা এই তত্ত্বকে নতুন রূপ দেন এবং এটিকে মুদ্রাবাদী মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
ফ্রিডম্যানের কাজ Keynesian economics-এর প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। কেইনসীয় অর্থনীতি aggregate demand এবং সরকারি হস্তক্ষেপ-এর ওপর জোর দেয়, যেখানে ফ্রিডম্যান অর্থ সরবরাহের স্থিতিশীলতাকে অর্থনীতির জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।
মডেলের মূল ধারণা
মুদ্রাবাদী মডেলের কয়েকটি মূল ধারণা নিচে উল্লেখ করা হলো:
- অর্থের পরিমাণ তত্ত্ব (Quantity Theory of Money): এই তত্ত্ব অনুসারে, অর্থের যোগান এবং মূল্য স্তরের মধ্যে একটি সরাসরি সম্পর্ক বিদ্যমান। এটি সাধারণত নিম্নলিখিত সমীকরণ দ্বারা প্রকাশ করা হয়:
MV = PQ
এখানে,
M = অর্থের যোগান (Money Supply) V = অর্থের বেগ (Velocity of Money) P = মূল্য স্তর (Price Level) Q = প্রকৃত উৎপাদন (Real Output)
এই সমীকরণ অনুযায়ী, অর্থের যোগান (M) বাড়লে মূল্য স্তর (P) বাড়বে, যদি অর্থের বেগ (V) এবং প্রকৃত উৎপাদন (Q) স্থিতিশীল থাকে।
- অর্থের নিরপেক্ষতা (Neutrality of Money): মুদ্রাবাদী মডেল মনে করে যে দীর্ঘমেয়াদে অর্থ নিরপেক্ষ। এর মানে হলো, অর্থের যোগানের পরিবর্তন শুধুমাত্র মূল্য স্তরকে প্রভাবিত করে, প্রকৃত অর্থনৈতিক চলক যেমন উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানকে নয়।
- প্রত্যাশিত মুদ্রাস্ফীতি (Expected Inflation): মুদ্রাবাদী অর্থনীতিবিদরা মনে করেন যে মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশিত হলে, মানুষ তাদের আচরণ পরিবর্তন করে, যা মুদ্রাস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
- ফিলিপস বক্ররেখা (Phillips Curve): মুদ্রাবাদী মডেল ফিলিপস বক্ররেখাকে সমর্থন করে, তবে শুধুমাত্র স্বল্প মেয়াদে। দীর্ঘমেয়াদে, তারা মনে করেন যে ফিলিপস বক্ররেখা উল্লম্ব, অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের মধ্যে কোনো ট্রেড-অফ নেই।
- সরকারের ভূমিকা (Role of Government): মুদ্রাবাদী মডেল অনুসারে, সরকারের প্রধান কাজ হলো অর্থ সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা।
নীতিগত প্রভাব
মুদ্রাবাদী মডেলের ওপর ভিত্তি করে বেশ কিছু নীতিগত সুপারিশ করা হয়:
- অর্থ সরবরাহের স্থিতিশীল বৃদ্ধি (Stable Growth of Money Supply): মুদ্রাবাদী অর্থনীতিবিদরা মনে করেন যে অর্থ সরবরাহকে একটি স্থিতিশীল হারে বৃদ্ধি করা উচিত, যা অর্থনীতির প্রকৃত বৃদ্ধির হারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা (Independence of Central Bank): মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে রাজনৈতিক চাপ থেকে মুক্ত রাখা উচিত।
- নমনীয় বিনিময় হার (Flexible Exchange Rate): নমনীয় বিনিময় হার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
- কম সরকারি হস্তক্ষেপ (Limited Government Intervention): মুদ্রাবাদী মডেল সরকারি হস্তক্ষেপের পরিবর্তে বাজারভিত্তিক সমাধানের ওপর জোর দেয়।
মুদ্রাবাদী মডেলের সমালোচনা
মুদ্রাবাদী মডেল কিছু সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে:
- অর্থের বেগের অস্থিরতা (Instability of Velocity of Money): সমালোচকরা বলেন যে অর্থের বেগ প্রায়শই অস্থির থাকে, তাই অর্থের যোগান এবং মূল্য স্তরের মধ্যে সম্পর্ক সবসময় সরলরৈখিক হয় না।
- স্বল্পমেয়াদী প্রভাব (Short-term Effects): মুদ্রাবাদী মডেল স্বল্পমেয়াদী অর্থনৈতিক ওঠানামা ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ।
- অন্যান্য কারণের উপেক্ষা (Ignoring Other Factors): এই মডেলটি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কারণ, যেমন প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এবং কাঠামোগত সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করে।
- আর্থিক উদ্ভাবন (Financial Innovation): আর্থিক উদ্ভাবন অর্থের যোগান এবং মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে সম্পর্ককে জটিল করে তোলে।
আধুনিক অর্থনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা
যদিও মুদ্রাবাদী মডেলের কিছু সমালোচনা রয়েছে, তবুও এটি আধুনিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক নীতি নির্ধারণে এর ধারণাগুলো এখনও প্রাসঙ্গিক। অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এবং সেই অনুযায়ী অর্থ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে সম্পর্ক
যদিও মুদ্রাবাদী মডেল সরাসরি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে সম্পর্কিত নয়, তবে অর্থনৈতিক সূচক এবং মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত ডেটা ব্যবহার করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
- মুদ্রাস্ফীতি ঘোষণা (Inflation Announcements): কোনো দেশের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত ঘোষণা বাইনারি অপশন মার্কেটে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হলে, সাধারণত সেই দেশের মুদ্রা দুর্বল হয়ে যায়, যা বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের সুযোগ তৈরি করে।
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি (Central Bank Policies): কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার পরিবর্তন বা অর্থ সরবরাহ সংক্রান্ত নীতি বাইনারি অপশন মার্কেটে প্রভাব ফেলে।
- অর্থনৈতিক ডেটা (Economic Data): জিডিপি (GDP), বেকারত্বের হার এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক ডেটা মুদ্রাবাদী মডেলের সাথে সম্পর্কিত, যা বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
টেকনিক্যাল এবং ভলিউম বিশ্লেষণ
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল এবং ভলিউম বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ (Technical Analysis): চার্ট প্যাটার্ন, ট্রেন্ড লাইন এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে ভবিষ্যতের মূল্য নির্ধারণের চেষ্টা করা হয়। Moving Averages, MACD, এবং RSI এর মতো ইন্ডিকেটরগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ভলিউম বিশ্লেষণ (Volume Analysis): ভলিউম ডেটা বাজারের গতিবিধি এবং প্রবণতা সম্পর্কে ধারণা দেয়। উচ্চ ভলিউম সাধারণত শক্তিশালী প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। On Balance Volume (OBV) এবং Volume Price Trend (VPT) এর মতো ইন্ডিকেটরগুলি ভলিউম বিশ্লেষণে সাহায্য করে।
কৌশল
বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের জন্য কিছু সাধারণ কৌশল নিচে উল্লেখ করা হলো:
- ট্রেন্ড ট্রেডিং (Trend Trading): বাজারের প্রবণতা অনুসরণ করে ট্রেড করা।
- রেঞ্জ ট্রেডিং (Range Trading): একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে দামের ওঠানামা ব্যবহার করে ট্রেড করা।
- ব্রেকআউট ট্রেডিং (Breakout Trading): গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল ভেদ করে দামের মুভমেন্ট ব্যবহার করে ট্রেড করা।
- নিউজ ট্রেডিং (News Trading): অর্থনৈতিক সংবাদ এবং ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করা।
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা
বাইনারি অপশন ট্রেডিং ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তাই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অপরিহার্য।
- স্টপ লস (Stop Loss): সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ সীমিত করার জন্য স্টপ লস ব্যবহার করা উচিত।
- পজিশন সাইজিং (Position Sizing): প্রতিটি ট্রেডে বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত, যাতে বড় ক্ষতির সম্ভাবনা কমানো যায়।
- ডাইভারসিফিকেশন (Diversification): বিভিন্ন অ্যাসেটে বিনিয়োগ করে ঝুঁকি কমানো যায়।
উপসংহার
মুদ্রাবাদী মডেল অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব, যা অর্থ সরবরাহ এবং মুদ্রাস্ফীতি-এর মধ্যে সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করে। যদিও এই মডেলের কিছু সমালোচনা রয়েছে, তবে এটি আধুনিক অর্থনীতি এবং আর্থিক নীতি নির্ধারণে এখনও প্রাসঙ্গিক। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক সূচক এবং মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত ডেটা ব্যবহার করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। তবে, ট্রেডিংয়ের সময় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
আরও জানতে:
- অর্থায়ন
- সামষ্টিক অর্থনীতি
- মুদ্রানীতি
- বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়
- আর্থিক বাজার
- ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা
- বিনিয়োগ
- সুদের হার
- বৈদেশিক বিনিয়োগ
- অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
- চাহিদা এবং যোগান
- মোট দেশজ উৎপাদন
- বেকারত্ব
- রাজকোষ
- আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
- মার্কেটিং
- ফিনান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং
- পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট
- ডেরিভেটিভস
- অর্থনৈতিক পূর্বাভাস
এখনই ট্রেডিং শুরু করুন
IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)
আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ
