Git: Difference between revisions

From binaryoption
Jump to navigation Jump to search
Баннер1
(@pipegas_WP)
 
(@pipegas_WP)
 
Line 1: Line 1:
গিট – সংস্করণ নিয়ন্ত্রণের শক্তিশালী হাতিয়ার
গিট: সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার একটি বিস্তারিত আলোচনা


ভূমিকা
ভূমিকা


গিট (Git) একটি ডিসট্রিবিউটেড ভার্সন কন্ট্রোল সিস্টেম। এটি প্রোগ্রামিং জগতে বহুল ব্যবহৃত একটি অত্যাবশ্যকীয় সরঞ্জাম। গিট ব্যবহার করে, আপনি আপনার প্রকল্পের ফাইলগুলির পরিবর্তনের ইতিহাস ট্র্যাক করতে পারেন, বিভিন্ন সংস্করণ তৈরি করতে পারেন এবং একাধিক ডেভেলপার একসাথে কাজ করতে পারেন কোনো প্রকার ডেটা হারানোর ভয় ছাড়াই। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর মতো জটিল ক্ষেত্রে, যেখানে ডেটার সঠিকতা এবং পূর্ববর্তী অবস্থার পুনরুদ্ধার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে গিট-এর ব্যবহার বিশেষভাবে উপযোগী হতে পারে। এই নিবন্ধে, গিট-এর মূল ধারণা, কর্মপদ্ধতি এবং ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
গিট (Git) একটি শক্তিশালী এবং বহুল ব্যবহৃত [[সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা]] (Version Control System)। এটি লিনুস টোরভাল্ডস তৈরি করেন, মূলত লিনাক্স কার্নেলের উন্নয়ন ট্র্যাক করার জন্য। গিট শুধু সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টেই নয়, যেকোনো ধরনের টেক্সট-ভিত্তিক ফাইলের পরিবর্তনগুলি ট্র্যাক করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই নিবন্ধে, গিট-এর মূল ধারণা, কর্মপদ্ধতি, এবং ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।


গিট এর ইতিহাস
সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কী?


লিনাস টোরভাল্ডস ২০০০ সালে লিনাক্স কার্নেলের উন্নয়নের জন্য গিট তৈরি করেন। এর আগে, লিনাক্স কার্নেলের সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য BitKeeper ব্যবহার করা হতো। কিন্তু BitKeeper একটি মালিকানাধীন সফটওয়্যার ছিল এবং এর লাইসেন্সিং শর্তাবলী খুব একটা অনুকূল ছিল না। তাই লিনাস টোরভাল্ডস একটি নিজস্ব, ওপেন সোর্স সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন, যা থেকেই গিট-এর জন্ম।
সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (Version Control System বা VCS) হলো এমন একটি পদ্ধতি যা সময়ের সাথে সাথে ফাইলের পরিবর্তনগুলি সংরক্ষণ করে। এর মাধ্যমে, আপনি যেকোনো পুরোনো সংস্করণে ফিরে যেতে পারেন, পরিবর্তনগুলি তুলনা করতে পারেন, এবং একাধিক ব্যবহারকারীর কাজ সমন্বিত করতে পারেন। গিট হলো একটি [[ডিস্ট্রিবিউটেড সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা]] (Distributed Version Control System বা DVCS)।


ভার্সন কন্ট্রোল সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা
গিট-এর মূল ধারণা


একটি সফটওয়্যার প্রকল্পের জীবনচক্রে, কোড পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এই পরিবর্তনগুলি ট্র্যাক করা এবং প্রয়োজনে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একাধিক ডেভেলপার যখন একই সাথে একটি প্রকল্পে কাজ করেন, তখন তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা এবং কোড মার্জ করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ভার্সন কন্ট্রোল সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
*  রিপোজিটরি (Repository): গিট রিপোজিটরি হলো আপনার প্রোজেক্টের সমস্ত ফাইল এবং তাদের পরিবর্তনের ইতিহাস ধারণ করার স্থান। রিপোজিটরি লোকাল মেশিনে বা দূরবর্তী সার্ভারে (যেমন [[GitHub]], [[GitLab]], [[Bitbucket]]) থাকতে পারে।
*  কমিট (Commit): একটি কমিট হলো আপনার ফাইলের একটি স্ন্যাপশট। প্রতিটি কমিটে একটি বার্তা (message) থাকে যা পরিবর্তনগুলি ব্যাখ্যা করে।
*  ব্রাঞ্চ (Branch): ব্রাঞ্চ হলো আপনার প্রোজেক্টের মূল লাইন থেকে একটি স্বতন্ত্র পথ। এটি আপনাকে মূল কোডবেসকে প্রভাবিত না করে নতুন বৈশিষ্ট্য তৈরি করতে বা বাগ সংশোধন করতে দেয়।
*  মার্জ (Merge): মার্জ হলো একটি ব্রাঞ্চের পরিবর্তনগুলি অন্য ব্রাঞ্চে একত্রিত করার প্রক্রিয়া।
*  রিমোট (Remote): রিমোট হলো আপনার লোকাল রিপোজিটরির একটি অনলাইন সংস্করণ, যা সাধারণত GitHub, GitLab বা Bitbucket-এ হোস্ট করা হয়।


গিট এর মূল ধারণা
গিট-এর কর্মপদ্ধতি


*  রেপোজিটরি (Repository): গিট রেপোজিটরি হলো আপনার প্রকল্পের সমস্ত ফাইল এবং তাদের পরিবর্তনের ইতিহাসের ডেটাবেস। এটি লোকাল (স্থানীয়) বা রিমোট (দূরবর্তী) হতে পারে।
গিট-এর কর্মপদ্ধতি তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত:
*  কমিট (Commit): একটি কমিট হলো আপনার প্রকল্পের ফাইলের একটি নির্দিষ্ট মুহূর্তের স্ন্যাপশট। প্রতিটি কমিটের সাথে একটি বার্তা যুক্ত থাকে যা পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করে।
*  ব্রাঞ্চ (Branch): ব্রাঞ্চ হলো আপনার প্রকল্পের মূল কোডবেস থেকে একটি স্বতন্ত্র লাইন। এটি আপনাকে মূল কোডবেসকে প্রভাবিত না করে নতুন ফিচার তৈরি বা বাগ ফিক্স করতে দেয়।
*  মার্জ (Merge): মার্জ হলো দুটি ব্রাঞ্চের পরিবর্তনগুলিকে একত্রিত করার প্রক্রিয়া।
*  রিমোট (Remote): রিমোট হলো অন্য একটি কম্পিউটারে অবস্থিত রেপোজিটরির ঠিকানা। এটি আপনাকে অন্যদের সাথে আপনার কোড শেয়ার করতে এবং তাদের কোড গ্রহণ করতে দেয়।


গিট এর কর্মপদ্ধতি
১. ওয়ার্কিং ডিরেক্টরি (Working Directory): এটি আপনার প্রোজেক্টের ফাইলগুলির সাথে কাজ করার স্থান। এখানে আপনি ফাইল তৈরি, সম্পাদনা এবং মুছে ফেলতে পারেন।


গিট তিনটি প্রধান অংশে কাজ করে:
২. স্টেজিং এরিয়া (Staging Area): স্টেজিং এরিয়া হলো সেই স্থান যেখানে আপনি কমিট করার জন্য ফাইলগুলি প্রস্তুত করেন। আপনি `git add` কমান্ড ব্যবহার করে ফাইলগুলিকে স্টেজিং এরিয়াতে যোগ করতে পারেন।


১. ওয়ার্কিং ডিরেক্টরি (Working Directory): এটি আপনার কম্পিউটারের সেই স্থান যেখানে আপনি আপনার প্রকল্পের ফাইলগুলি নিয়ে কাজ করেন।
৩. লোকাল রিপোজিটরি (Local Repository): এটি আপনার প্রোজেক্টের সমস্ত পরিবর্তনগুলি সংরক্ষণ করে। আপনি `git commit` কমান্ড ব্যবহার করে স্টেজিং এরিয়াতে থাকা ফাইলগুলিকে লোকাল রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে পারেন।
২. স্টেজিং এরিয়া (Staging Area): এখানে আপনি সেই ফাইলগুলি যোগ করেন যেগুলি আপনি কমিট করতে চান।
৩. গিট ডিরেক্টরি (Git Directory): এটি আপনার প্রকল্পের সমস্ত পরিবর্তনের ইতিহাস সংরক্ষণ করে।


গিট ব্যবহারের মৌলিক কমান্ড
গিট-এর মৌলিক কমান্ড


*  git init: একটি নতুন গিট রেপোজিটরি তৈরি করে।
*  `git init`: একটি নতুন গিট রিপোজিটরি তৈরি করে।
*  git clone: একটি রিমোট রেপোজিটরি থেকে আপনার কম্পিউটারে একটি কপি তৈরি করে।
*  `git clone <url>`: একটি দূরবর্তী রিপোজিটরি থেকে আপনার লোকাল মেশিনে প্রোজেক্টের একটি কপি ডাউনলোড করে।
*  git add: ফাইলগুলিকে স্টেজিং এরিয়াতে যোগ করে।
*  `git add <file>`: একটি ফাইলকে স্টেজিং এরিয়াতে যোগ করে। `git add .` কমান্ডটি বর্তমান ডিরেক্টরির সমস্ত পরিবর্তিত ফাইল যোগ করে।
*  git commit: স্টেজিং এরিয়াতে থাকা ফাইলগুলির একটি স্ন্যাপশট তৈরি করে এবং গিট ডিরেক্টরিতে সংরক্ষণ করে।
*  `git commit -m "<message>"`: স্টেজিং এরিয়াতে থাকা ফাইলগুলিকে লোকাল রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করে এবং একটি বার্তা যোগ করে।
*  git push: আপনার লোকাল রেপোজিটরি থেকে রিমোট রেপোজিটরিতে পরিবর্তনগুলি পাঠায়।
*  `git status`: আপনার ওয়ার্কিং ডিরেক্টরি এবং স্টেজিং এরিয়ার অবস্থা দেখায়।
*  git pull: রিমোট রেপোজিটরি থেকে আপনার লোকাল রেপোজিটরিতে পরিবর্তনগুলি গ্রহণ করে।
*  `git log`: কমিট ইতিহাস প্রদর্শন করে।
*  git branch: নতুন ব্রাঞ্চ তৈরি করে বা বিদ্যমান ব্রাঞ্চগুলি তালিকাভুক্ত করে।
*  `git branch`: ব্রাঞ্চগুলি তালিকাভুক্ত করে।
*  git checkout: একটি নির্দিষ্ট ব্রাঞ্চে স্যুইচ করে।
*  `git checkout <branch>`: একটি নির্দিষ্ট ব্রাঞ্চে স্যুইচ করে।
*  git merge: দুটি ব্রাঞ্চের পরিবর্তনগুলিকে একত্রিত করে।
*  `git merge <branch>`: একটি ব্রাঞ্চের পরিবর্তনগুলি বর্তমান ব্রাঞ্চে মার্জ করে।
*  git status: আপনার ওয়ার্কিং ডিরেক্টরির অবস্থা দেখায়।
*  `git push <remote> <branch>`: লোকাল রিপোজিটরির পরিবর্তনগুলি একটি রিমোট রিপোজিটরিতে আপলোড করে।
*  `git pull <remote> <branch>`: একটি রিমোট রিপোজিটরি থেকে লোকাল রিপোজিটরিতে পরিবর্তনগুলি ডাউনলোড করে এবং মার্জ করে।


ব্রাঞ্চিং এবং মার্জিং
ব্রাঞ্চিং এবং মার্জিং


গিট-এর সবচেয়ে শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হলো ব্রাঞ্চিং এবং মার্জিং। ব্রাঞ্চিং আপনাকে মূল কোডবেসকে প্রভাবিত না করে নতুন ফিচার তৈরি বা বাগ ফিক্স করতে দেয়। যখন আপনার কাজ সম্পন্ন হয়, তখন আপনি সেই ব্রাঞ্চটিকে মূল কোডবেসের সাথে মার্জ করতে পারেন।
গিট-এর সবচেয়ে শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হলো ব্রাঞ্চিং। ব্রাঞ্চিং আপনাকে মূল কোডবেসকে প্রভাবিত না করে নতুন বৈশিষ্ট্য তৈরি করতে বা বাগ সংশোধন করতে দেয়।


গিট ফ্লো (Gitflow)
একটি নতুন ব্রাঞ্চ তৈরি করতে, `git branch <branch_name>` কমান্ড ব্যবহার করুন। তারপর, `git checkout <branch_name>` কমান্ড ব্যবহার করে সেই ব্রাঞ্চে স্যুইচ করুন।


গিট ফ্লো হলো ব্রাঞ্চিং মডেল যা একটি সুসংগঠিত উন্নয়ন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে। এটি সাধারণত নিম্নলিখিত ব্রাঞ্চগুলি ব্যবহার করে:
যখন আপনার কাজ শেষ হয়ে যাবে, তখন আপনি `git merge <branch_name>` কমান্ড ব্যবহার করে ব্রাঞ্চের পরিবর্তনগুলি মূল ব্রাঞ্চে মার্জ করতে পারেন।


*  main: এই ব্রাঞ্চে সর্বদা প্রোডাকশন-রেডি কোড থাকে।
কনফ্লিক্ট (Conflict) সমাধান
*  develop: এই ব্রাঞ্চে নতুন ফিচার এবং বাগ ফিক্সগুলি একত্রিত করা হয়।
*  feature: নতুন ফিচার তৈরির জন্য এই ব্রাঞ্চগুলি ব্যবহার করা হয়।
*  release: রিলিজ তৈরির জন্য এই ব্রাঞ্চগুলি ব্যবহার করা হয়।
*  hotfix: প্রোডাকশনে জরুরি বাগ ফিক্স করার জন্য এই ব্রাঞ্চগুলি ব্যবহার করা হয়।


গিট এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিং
মার্জ করার সময়, যদি দুটি ব্রাঞ্চে একই ফাইলের একই অংশে ভিন্ন পরিবর্তন করা হয়, তাহলে একটি কনফ্লিক্ট তৈরি হতে পারে। গিট কনফ্লিক্ট চিহ্নিত করে এবং আপনাকে এটি সমাধান করতে বলে। কনফ্লিক্ট সমাধান করার জন্য, আপনাকে ফাইলের কনফ্লিক্টেড অংশগুলি ম্যানুয়ালি সম্পাদনা করতে হবে এবং সঠিক পরিবর্তনগুলি রাখতে হবে।


বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রে, গিট নিম্নলিখিত উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে:
রিমোট রিপোজিটরি


*  ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজির সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ: আপনি আপনার ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি কোড গিট-এর মাধ্যমে ট্র্যাক করতে পারেন, যা আপনাকে বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজির কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করতে এবং প্রয়োজনে পূর্ববর্তী সংস্করণে ফিরে যেতে সাহায্য করবে।
গিটহাব, গিটল্যাব এবং বিটবাকেট হলো বহুল ব্যবহৃত রিমোট রিপোজিটরি হোস্টিং পরিষেবা। রিমোট রিপোজিটরি ব্যবহার করে, আপনি আপনার কোড অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেন, অন্যদের কোডে অবদান রাখতে পারেন, এবং আপনার প্রোজেক্টের ব্যাকআপ রাখতে পারেন।
*  ব্যাকটেস্টিং ডেটার ব্যবস্থাপনা: ব্যাকটেস্টিং-এর জন্য ব্যবহৃত ডেটা গিট-এর মাধ্যমে সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে, যা ডেটার সঠিকতা নিশ্চিত করবে এবং বিশ্লেষণের পুনরাবৃত্তিযোগ্যতা বাড়াবে।
*  অটোমেটেড ট্রেডিং সিস্টেমের উন্নয়ন: অটোমেটেড ট্রেডিং সিস্টেমের কোড গিট-এর মাধ্যমে ট্র্যাক করা এবং পরিচালনা করা যেতে পারে, যা কোডের নির্ভরযোগ্যতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।
*  রিস্ক ম্যানেজমেন্ট মডেলের সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ: রিস্ক ম্যানেজমেন্ট মডেলগুলি গিট-এর মাধ্যমে সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে, যা আপনাকে বিভিন্ন মডেলের কার্যকারিতা তুলনা করতে এবং সেরা মডেলটি নির্বাচন করতে সাহায্য করবে।


গিট এর উন্নত বৈশিষ্ট্য
রিমোট রিপোজিটরি যুক্ত করতে, `git remote add <name> <url>` কমান্ড ব্যবহার করুন। তারপর, `git push` এবং `git pull` কমান্ড ব্যবহার করে লোকাল এবং রিমোট রিপোজিটরির মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারেন।


*  রিবেসিং (Rebasing): রিবেসিং হলো আপনার ব্রাঞ্চের কমিট হিস্টরি পরিবর্তন করার একটি প্রক্রিয়া।
গিট-এর উন্নত বৈশিষ্ট্য
*  স্ট্যাশিং (Stashing): স্ট্যাশিং হলো আপনার ওয়ার্কিং ডিরেক্টরির পরিবর্তনগুলি সাময়িকভাবে সংরক্ষণ করার একটি প্রক্রিয়া।
*  সাবমডিউল (Submodule): সাবমডিউল হলো অন্য একটি গিট রেপোজিটরির একটি রেফারেন্স যা আপনার রেপোজিটরিতে যোগ করা হয়।
*  গিট হুক (Git Hook): গিট হুক হলো স্ক্রিপ্ট যা গিট ইভেন্টগুলির আগে বা পরে চালানো হয়।


গিট ব্যবহারের সুবিধা
*  রিবেসিং (Rebasing): রিবেসিং হলো কমিট ইতিহাস পরিবর্তন করার একটি উপায়।
*  স্ট্যাশিং (Stashing): স্ট্যাশিং হলো আপনার পরিবর্তনগুলি সাময়িকভাবে সংরক্ষণ করার একটি উপায়।
*  সাবমডিউল (Submodule): সাবমডিউল হলো অন্য একটি গিট রিপোজিটরির একটি রেফারেন্স।
*  গিট হুক (Git Hooks): গিট হুক হলো স্ক্রিপ্ট যা নির্দিষ্ট গিট ইভেন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালানো হয়।


*  ডেটা সুরক্ষা: গিট আপনার প্রকল্পের সমস্ত পরিবর্তনের ইতিহাস সংরক্ষণ করে, যা ডেটা হারানোর ঝুঁকি কমায়।
বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে গিট-এর সম্পর্ক
*  সহযোগিতা: গিট একাধিক ডেভেলপারকে একসাথে কাজ করতে সাহায্য করে।
*  দক্ষতা: গিট ব্রাঞ্চিং এবং মার্জিংয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে।
*  নমনীয়তা: গিট বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত।
*  ওপেন সোর্স: গিট একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, তাই এটি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।


কিছু গুরুত্বপূর্ণ গিট রিসোর্স
যদিও গিট মূলত সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের জন্য তৈরি, তবে এটি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে। কিভাবে?


*  গিট অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: [https://git-scm.com/](https://git-scm.com/)
১. ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি এবং সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ: আপনি আপনার ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি কোড আকারে লিখে (যেমন পাইথন স্ক্রিপ্ট) গিট ব্যবহার করে সেগুলোর সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। প্রতিটি পরিবর্তনের ইতিহাস ট্র্যাক করে আপনি সহজেই আগের কার্যকরী স্ট্র্যাটেজিতে ফিরে যেতে পারবেন।
*  গিট ডকুমেন্টেশন: [https://git-scm.com/doc](https://git-scm.com/doc)
*  গিটহাব: [https://github.com/](https://github.com/)
*  গিটল্যাব: [https://gitlab.com/](https://gitlab.com/)
*  বিটবাকেট: [https://bitbucket.org/](https://bitbucket.org/)


বাইনারি অপশন ট্রেডিং সম্পর্কিত অন্যান্য রিসোর্স:
২. ব্যাকটেস্টিং ফলাফল সংরক্ষণ: ব্যাকটেস্টিংয়ের ফলাফলগুলো গিট রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করে আপনি বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজির কার্যকারিতা তুলনা করতে পারবেন।


*  টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ: [[Technical Analysis]]
৩. অ্যালগরিদমিক ট্রেডিং কোড ব্যবস্থাপনা: অ্যালগরিদমিক ট্রেডিংয়ের জন্য ব্যবহৃত কোড গিট-এর মাধ্যমে সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায়, যা কোডের নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতা বাড়ায়।
*  ভলিউম বিশ্লেষণ: [[Volume Analysis]]
 
*  ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: [[Risk Management]]
৪. স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং সিস্টেমের কনফিগারেশন: স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং সিস্টেমের কনফিগারেশন ফাইলগুলি গিট-এর মাধ্যমে ট্র্যাক করা যেতে পারে, যাতে সিস্টেমের সেটিংসের পরিবর্তনগুলি সহজেই নিরীক্ষণ করা যায়।
*  ট্রেডিং কৌশল: [[Trading Strategies]]
 
*  অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার: [[Economic Calendar]]
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণের জন্য সহায়ক গিট ব্যবহার:
*  ফিনান্সিয়াল মার্কেট: [[Financial Markets]]
 
*  অপশন ট্রেডিং: [[Option Trading]]
*  গিট ব্যবহার করে আপনি আপনার টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর (যেমন মুভিং এভারেজ, আরএসআই) এবং ভলিউম বিশ্লেষণ স্ক্রিপ্টগুলির সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। [[টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ]]
*  ব্যাকটেস্টিং: [[Backtesting]]
*  বিভিন্ন বাজারের ডেটা বিশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত স্ক্রিপ্টগুলি গিট-এ সংরক্ষণ করে আপনি ডেটা বিশ্লেষণের প্রক্রিয়াটিকে সুসংগঠিত করতে পারেন। [[ভলিউম বিশ্লেষণ]]
*  পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট: [[Portfolio Management]]
*  গিট-এর ব্রাঞ্চিং ফিচার ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ট্রেডিং কৌশল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন এবং মূল স্ট্র্যাটেজিকে প্রভাবিত না করে নতুন কৌশল তৈরি করতে পারেন। [[ট্রেডিং কৌশল]]
*  মার্টিংগেল কৌশল: [[Martingale Strategy]]
*  আপনার তৈরি করা কাস্টম ইন্ডিকেটরগুলির কোড গিট-এ সংরক্ষণ করে আপনি সেগুলির উন্নতি এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারেন। [[কাস্টম ইন্ডিকেটর]]
*  ফিবোনাচি রিট্রেসমেন্ট: [[Fibonacci Retracement]]
*  গিট ব্যবহার করে আপনি আপনার ট্রেডিং জার্নাল (trading journal) তৈরি এবং সংরক্ষণ করতে পারেন, যেখানে আপনার ট্রেডগুলির বিস্তারিত তথ্য থাকবে। [[ট্রেডিং জার্নাল]]
*  মুভিং এভারেজ: [[Moving Average]]
*  বিভিন্ন ব্রোকারের এপিআই (API) ব্যবহারের জন্য স্ক্রিপ্টগুলি গিট-এ সংরক্ষণ করে আপনি ব্রোকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দ্রুত অ্যাডাপ্ট করতে পারবেন। [[ব্রোকার এপিআই]]
*  আরএসআই (RSI): [[Relative Strength Index]]
*  রিস্ক ম্যানেজমেন্টের জন্য ব্যবহৃত কোড এবং অ্যালগরিদমগুলি গিট-এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। [[রিস্ক ম্যানেজমেন্ট]]
*  এমএসিডি (MACD): [[Moving Average Convergence Divergence]]
*  ব্যাকটেস্টিংয়ের জন্য ব্যবহৃত ডেটা এবং স্ক্রিপ্টগুলি গিট-এ সংরক্ষণ করে আপনি পরীক্ষার ফলাফলগুলি পুনরায় তৈরি করতে পারবেন। [[ব্যাকটেস্টিং]]
*  বলিঙ্গার ব্যান্ড: [[Bollinger Bands]]
*  গিট ব্যবহার করে আপনি আপনার ট্রেডিং সিস্টেমের ডকুমেন্টেশন তৈরি এবং আপডেট করতে পারেন। [[ডকুমেন্টেশন]]
*  বিভিন্ন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের জন্য ব্যবহৃত স্ক্রিপ্টগুলি গিট-এ সংরক্ষণ করে আপনি প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সুবিধা পেতে পারেন। [[ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম]]
*  আপনার ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজির কর্মক্ষমতা নিরীক্ষণের জন্য ব্যবহৃত ড্যাশবোর্ড কোড গিট-এ সংরক্ষণ করা যায়। [[ড্যাশবোর্ড]]
*  গিট-এর মাধ্যমে আপনি আপনার ট্রেডিং অ্যালগরিদমের ত্রুটিগুলি ট্র্যাক এবং সমাধান করতে পারেন। [[ডিবাগিং]]
*  বিভিন্ন ধরনের চার্ট (chart) তৈরির জন্য ব্যবহৃত স্ক্রিপ্টগুলি গিট-এ সংরক্ষণ করে আপনি চার্টগুলির কাস্টমাইজেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারেন। [[চার্ট]]
*  গিট ব্যবহার করে আপনি আপনার ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজির উন্নতি এবং অপটিমাইজেশন করতে পারেন। [[অপটিমাইজেশন]]
*  আপনার ট্রেডিং সিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহৃত স্ক্রিপ্টগুলি গিট-এ সংরক্ষণ করা যায়। [[নিরাপত্তা]]


উপসংহার
উপসংহার


গিট একটি শক্তিশালী এবং বহুমুখী সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এটি প্রোগ্রামিং এবং সফটওয়্যার উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর মতো জটিল ক্ষেত্রেও, গিট আপনার কাজকে আরও সুসংগঠিত, নিরাপদ এবং দক্ষ করতে পারে। গিট-এর মৌলিক ধারণা এবং কমান্ডগুলি আয়ত্ত করে, আপনি আপনার প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়াতে পারেন।
গিট একটি অপরিহার্য সরঞ্জাম যা সফটওয়্যার ডেভেলপার এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল পেশাদারদের জন্য অত্যন্ত उपयोगी। এর শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যগুলি আপনাকে কোড পরিচালনা করতে, পরিবর্তনগুলি ট্র্যাক করতে এবং অন্যদের সাথে সহযোগিতা করতে সহায়তা করে। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রেও, গিট আপনার ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি, অ্যালগরিদম এবং ডেটা বিশ্লেষণের প্রক্রিয়াকে আরও সুসংগঠিত এবং নির্ভরযোগ্য করতে পারে। গিট শিখতে কিছুটা সময় লাগতে পারে, তবে এর সুবিধাগুলি দীর্ঘমেয়াদে অনেক বেশি।
 
{| class="wikitable"
|+ গিট-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কমান্ড
|-
| কমান্ড || বিবরণ ||
| `git init` || নতুন গিট রিপোজিটরি তৈরি করে ||
| `git clone` || রিমোট রিপোজিটরি থেকে প্রোজেক্ট ডাউনলোড করে ||
| `git add` || ফাইল স্টেজিং এরিয়াতে যোগ করে ||
| `git commit` || স্টেজিং এরিয়া থেকে লোকাল রিপোজিটরিতে পরিবর্তন সংরক্ষণ করে ||
| `git status` || ওয়ার্কিং ডিরেক্টরির অবস্থা দেখায় ||
| `git log` || কমিট ইতিহাস প্রদর্শন করে ||
| `git branch` || ব্রাঞ্চগুলি তালিকাভুক্ত করে এবং নতুন ব্রাঞ্চ তৈরি করে ||
| `git checkout` || ব্রাঞ্চের মধ্যে স্যুইচ করে ||
| `git merge` || ব্রাঞ্চের পরিবর্তনগুলি একত্রিত করে ||
| `git push` || লোকাল রিপোজিটরি থেকে রিমোট রিপোজিটরিতে পরিবর্তন আপলোড করে ||
| `git pull` || রিমোট রিপোজিটরি থেকে লোকাল রিপোজিটরিতে পরিবর্তন ডাউনলোড করে ||
|}


[[Category:গিট]]
[[Category:গিট]]

Latest revision as of 22:33, 22 April 2025

গিট: সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার একটি বিস্তারিত আলোচনা

ভূমিকা

গিট (Git) একটি শক্তিশালী এবং বহুল ব্যবহৃত সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (Version Control System)। এটি লিনুস টোরভাল্ডস তৈরি করেন, মূলত লিনাক্স কার্নেলের উন্নয়ন ট্র্যাক করার জন্য। গিট শুধু সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টেই নয়, যেকোনো ধরনের টেক্সট-ভিত্তিক ফাইলের পরিবর্তনগুলি ট্র্যাক করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই নিবন্ধে, গিট-এর মূল ধারণা, কর্মপদ্ধতি, এবং ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কী?

সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (Version Control System বা VCS) হলো এমন একটি পদ্ধতি যা সময়ের সাথে সাথে ফাইলের পরিবর্তনগুলি সংরক্ষণ করে। এর মাধ্যমে, আপনি যেকোনো পুরোনো সংস্করণে ফিরে যেতে পারেন, পরিবর্তনগুলি তুলনা করতে পারেন, এবং একাধিক ব্যবহারকারীর কাজ সমন্বিত করতে পারেন। গিট হলো একটি ডিস্ট্রিবিউটেড সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (Distributed Version Control System বা DVCS)।

গিট-এর মূল ধারণা

  • রিপোজিটরি (Repository): গিট রিপোজিটরি হলো আপনার প্রোজেক্টের সমস্ত ফাইল এবং তাদের পরিবর্তনের ইতিহাস ধারণ করার স্থান। রিপোজিটরি লোকাল মেশিনে বা দূরবর্তী সার্ভারে (যেমন GitHub, GitLab, Bitbucket) থাকতে পারে।
  • কমিট (Commit): একটি কমিট হলো আপনার ফাইলের একটি স্ন্যাপশট। প্রতিটি কমিটে একটি বার্তা (message) থাকে যা পরিবর্তনগুলি ব্যাখ্যা করে।
  • ব্রাঞ্চ (Branch): ব্রাঞ্চ হলো আপনার প্রোজেক্টের মূল লাইন থেকে একটি স্বতন্ত্র পথ। এটি আপনাকে মূল কোডবেসকে প্রভাবিত না করে নতুন বৈশিষ্ট্য তৈরি করতে বা বাগ সংশোধন করতে দেয়।
  • মার্জ (Merge): মার্জ হলো একটি ব্রাঞ্চের পরিবর্তনগুলি অন্য ব্রাঞ্চে একত্রিত করার প্রক্রিয়া।
  • রিমোট (Remote): রিমোট হলো আপনার লোকাল রিপোজিটরির একটি অনলাইন সংস্করণ, যা সাধারণত GitHub, GitLab বা Bitbucket-এ হোস্ট করা হয়।

গিট-এর কর্মপদ্ধতি

গিট-এর কর্মপদ্ধতি তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত:

১. ওয়ার্কিং ডিরেক্টরি (Working Directory): এটি আপনার প্রোজেক্টের ফাইলগুলির সাথে কাজ করার স্থান। এখানে আপনি ফাইল তৈরি, সম্পাদনা এবং মুছে ফেলতে পারেন।

২. স্টেজিং এরিয়া (Staging Area): স্টেজিং এরিয়া হলো সেই স্থান যেখানে আপনি কমিট করার জন্য ফাইলগুলি প্রস্তুত করেন। আপনি `git add` কমান্ড ব্যবহার করে ফাইলগুলিকে স্টেজিং এরিয়াতে যোগ করতে পারেন।

৩. লোকাল রিপোজিটরি (Local Repository): এটি আপনার প্রোজেক্টের সমস্ত পরিবর্তনগুলি সংরক্ষণ করে। আপনি `git commit` কমান্ড ব্যবহার করে স্টেজিং এরিয়াতে থাকা ফাইলগুলিকে লোকাল রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে পারেন।

গিট-এর মৌলিক কমান্ড

  • `git init`: একটি নতুন গিট রিপোজিটরি তৈরি করে।
  • `git clone <url>`: একটি দূরবর্তী রিপোজিটরি থেকে আপনার লোকাল মেশিনে প্রোজেক্টের একটি কপি ডাউনলোড করে।
  • `git add <file>`: একটি ফাইলকে স্টেজিং এরিয়াতে যোগ করে। `git add .` কমান্ডটি বর্তমান ডিরেক্টরির সমস্ত পরিবর্তিত ফাইল যোগ করে।
  • `git commit -m "<message>"`: স্টেজিং এরিয়াতে থাকা ফাইলগুলিকে লোকাল রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করে এবং একটি বার্তা যোগ করে।
  • `git status`: আপনার ওয়ার্কিং ডিরেক্টরি এবং স্টেজিং এরিয়ার অবস্থা দেখায়।
  • `git log`: কমিট ইতিহাস প্রদর্শন করে।
  • `git branch`: ব্রাঞ্চগুলি তালিকাভুক্ত করে।
  • `git checkout <branch>`: একটি নির্দিষ্ট ব্রাঞ্চে স্যুইচ করে।
  • `git merge <branch>`: একটি ব্রাঞ্চের পরিবর্তনগুলি বর্তমান ব্রাঞ্চে মার্জ করে।
  • `git push <remote> <branch>`: লোকাল রিপোজিটরির পরিবর্তনগুলি একটি রিমোট রিপোজিটরিতে আপলোড করে।
  • `git pull <remote> <branch>`: একটি রিমোট রিপোজিটরি থেকে লোকাল রিপোজিটরিতে পরিবর্তনগুলি ডাউনলোড করে এবং মার্জ করে।

ব্রাঞ্চিং এবং মার্জিং

গিট-এর সবচেয়ে শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হলো ব্রাঞ্চিং। ব্রাঞ্চিং আপনাকে মূল কোডবেসকে প্রভাবিত না করে নতুন বৈশিষ্ট্য তৈরি করতে বা বাগ সংশোধন করতে দেয়।

একটি নতুন ব্রাঞ্চ তৈরি করতে, `git branch <branch_name>` কমান্ড ব্যবহার করুন। তারপর, `git checkout <branch_name>` কমান্ড ব্যবহার করে সেই ব্রাঞ্চে স্যুইচ করুন।

যখন আপনার কাজ শেষ হয়ে যাবে, তখন আপনি `git merge <branch_name>` কমান্ড ব্যবহার করে ব্রাঞ্চের পরিবর্তনগুলি মূল ব্রাঞ্চে মার্জ করতে পারেন।

কনফ্লিক্ট (Conflict) সমাধান

মার্জ করার সময়, যদি দুটি ব্রাঞ্চে একই ফাইলের একই অংশে ভিন্ন পরিবর্তন করা হয়, তাহলে একটি কনফ্লিক্ট তৈরি হতে পারে। গিট কনফ্লিক্ট চিহ্নিত করে এবং আপনাকে এটি সমাধান করতে বলে। কনফ্লিক্ট সমাধান করার জন্য, আপনাকে ফাইলের কনফ্লিক্টেড অংশগুলি ম্যানুয়ালি সম্পাদনা করতে হবে এবং সঠিক পরিবর্তনগুলি রাখতে হবে।

রিমোট রিপোজিটরি

গিটহাব, গিটল্যাব এবং বিটবাকেট হলো বহুল ব্যবহৃত রিমোট রিপোজিটরি হোস্টিং পরিষেবা। রিমোট রিপোজিটরি ব্যবহার করে, আপনি আপনার কোড অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেন, অন্যদের কোডে অবদান রাখতে পারেন, এবং আপনার প্রোজেক্টের ব্যাকআপ রাখতে পারেন।

রিমোট রিপোজিটরি যুক্ত করতে, `git remote add <name> <url>` কমান্ড ব্যবহার করুন। তারপর, `git push` এবং `git pull` কমান্ড ব্যবহার করে লোকাল এবং রিমোট রিপোজিটরির মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারেন।

গিট-এর উন্নত বৈশিষ্ট্য

  • রিবেসিং (Rebasing): রিবেসিং হলো কমিট ইতিহাস পরিবর্তন করার একটি উপায়।
  • স্ট্যাশিং (Stashing): স্ট্যাশিং হলো আপনার পরিবর্তনগুলি সাময়িকভাবে সংরক্ষণ করার একটি উপায়।
  • সাবমডিউল (Submodule): সাবমডিউল হলো অন্য একটি গিট রিপোজিটরির একটি রেফারেন্স।
  • গিট হুক (Git Hooks): গিট হুক হলো স্ক্রিপ্ট যা নির্দিষ্ট গিট ইভেন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালানো হয়।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর সাথে গিট-এর সম্পর্ক

যদিও গিট মূলত সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের জন্য তৈরি, তবে এটি বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে। কিভাবে?

১. ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি এবং সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ: আপনি আপনার ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি কোড আকারে লিখে (যেমন পাইথন স্ক্রিপ্ট) গিট ব্যবহার করে সেগুলোর সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। প্রতিটি পরিবর্তনের ইতিহাস ট্র্যাক করে আপনি সহজেই আগের কার্যকরী স্ট্র্যাটেজিতে ফিরে যেতে পারবেন।

২. ব্যাকটেস্টিং ফলাফল সংরক্ষণ: ব্যাকটেস্টিংয়ের ফলাফলগুলো গিট রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করে আপনি বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজির কার্যকারিতা তুলনা করতে পারবেন।

৩. অ্যালগরিদমিক ট্রেডিং কোড ব্যবস্থাপনা: অ্যালগরিদমিক ট্রেডিংয়ের জন্য ব্যবহৃত কোড গিট-এর মাধ্যমে সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায়, যা কোডের নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতা বাড়ায়।

৪. স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং সিস্টেমের কনফিগারেশন: স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং সিস্টেমের কনফিগারেশন ফাইলগুলি গিট-এর মাধ্যমে ট্র্যাক করা যেতে পারে, যাতে সিস্টেমের সেটিংসের পরিবর্তনগুলি সহজেই নিরীক্ষণ করা যায়।

টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ভলিউম বিশ্লেষণের জন্য সহায়ক গিট ব্যবহার:

  • গিট ব্যবহার করে আপনি আপনার টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর (যেমন মুভিং এভারেজ, আরএসআই) এবং ভলিউম বিশ্লেষণ স্ক্রিপ্টগুলির সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ
  • বিভিন্ন বাজারের ডেটা বিশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত স্ক্রিপ্টগুলি গিট-এ সংরক্ষণ করে আপনি ডেটা বিশ্লেষণের প্রক্রিয়াটিকে সুসংগঠিত করতে পারেন। ভলিউম বিশ্লেষণ
  • গিট-এর ব্রাঞ্চিং ফিচার ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ট্রেডিং কৌশল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন এবং মূল স্ট্র্যাটেজিকে প্রভাবিত না করে নতুন কৌশল তৈরি করতে পারেন। ট্রেডিং কৌশল
  • আপনার তৈরি করা কাস্টম ইন্ডিকেটরগুলির কোড গিট-এ সংরক্ষণ করে আপনি সেগুলির উন্নতি এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারেন। কাস্টম ইন্ডিকেটর
  • গিট ব্যবহার করে আপনি আপনার ট্রেডিং জার্নাল (trading journal) তৈরি এবং সংরক্ষণ করতে পারেন, যেখানে আপনার ট্রেডগুলির বিস্তারিত তথ্য থাকবে। ট্রেডিং জার্নাল
  • বিভিন্ন ব্রোকারের এপিআই (API) ব্যবহারের জন্য স্ক্রিপ্টগুলি গিট-এ সংরক্ষণ করে আপনি ব্রোকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দ্রুত অ্যাডাপ্ট করতে পারবেন। ব্রোকার এপিআই
  • রিস্ক ম্যানেজমেন্টের জন্য ব্যবহৃত কোড এবং অ্যালগরিদমগুলি গিট-এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রিস্ক ম্যানেজমেন্ট
  • ব্যাকটেস্টিংয়ের জন্য ব্যবহৃত ডেটা এবং স্ক্রিপ্টগুলি গিট-এ সংরক্ষণ করে আপনি পরীক্ষার ফলাফলগুলি পুনরায় তৈরি করতে পারবেন। ব্যাকটেস্টিং
  • গিট ব্যবহার করে আপনি আপনার ট্রেডিং সিস্টেমের ডকুমেন্টেশন তৈরি এবং আপডেট করতে পারেন। ডকুমেন্টেশন
  • বিভিন্ন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের জন্য ব্যবহৃত স্ক্রিপ্টগুলি গিট-এ সংরক্ষণ করে আপনি প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সুবিধা পেতে পারেন। ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম
  • আপনার ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজির কর্মক্ষমতা নিরীক্ষণের জন্য ব্যবহৃত ড্যাশবোর্ড কোড গিট-এ সংরক্ষণ করা যায়। ড্যাশবোর্ড
  • গিট-এর মাধ্যমে আপনি আপনার ট্রেডিং অ্যালগরিদমের ত্রুটিগুলি ট্র্যাক এবং সমাধান করতে পারেন। ডিবাগিং
  • বিভিন্ন ধরনের চার্ট (chart) তৈরির জন্য ব্যবহৃত স্ক্রিপ্টগুলি গিট-এ সংরক্ষণ করে আপনি চার্টগুলির কাস্টমাইজেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারেন। চার্ট
  • গিট ব্যবহার করে আপনি আপনার ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজির উন্নতি এবং অপটিমাইজেশন করতে পারেন। অপটিমাইজেশন
  • আপনার ট্রেডিং সিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহৃত স্ক্রিপ্টগুলি গিট-এ সংরক্ষণ করা যায়। নিরাপত্তা

উপসংহার

গিট একটি অপরিহার্য সরঞ্জাম যা সফটওয়্যার ডেভেলপার এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল পেশাদারদের জন্য অত্যন্ত उपयोगी। এর শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যগুলি আপনাকে কোড পরিচালনা করতে, পরিবর্তনগুলি ট্র্যাক করতে এবং অন্যদের সাথে সহযোগিতা করতে সহায়তা করে। বাইনারি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রেও, গিট আপনার ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি, অ্যালগরিদম এবং ডেটা বিশ্লেষণের প্রক্রিয়াকে আরও সুসংগঠিত এবং নির্ভরযোগ্য করতে পারে। গিট শিখতে কিছুটা সময় লাগতে পারে, তবে এর সুবিধাগুলি দীর্ঘমেয়াদে অনেক বেশি।

গিট-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কমান্ড
কমান্ড বিবরণ `git init` নতুন গিট রিপোজিটরি তৈরি করে `git clone` রিমোট রিপোজিটরি থেকে প্রোজেক্ট ডাউনলোড করে `git add` ফাইল স্টেজিং এরিয়াতে যোগ করে `git commit` স্টেজিং এরিয়া থেকে লোকাল রিপোজিটরিতে পরিবর্তন সংরক্ষণ করে `git status` ওয়ার্কিং ডিরেক্টরির অবস্থা দেখায় `git log` কমিট ইতিহাস প্রদর্শন করে `git branch` ব্রাঞ্চগুলি তালিকাভুক্ত করে এবং নতুন ব্রাঞ্চ তৈরি করে `git checkout` ব্রাঞ্চের মধ্যে স্যুইচ করে `git merge` ব্রাঞ্চের পরিবর্তনগুলি একত্রিত করে `git push` লোকাল রিপোজিটরি থেকে রিমোট রিপোজিটরিতে পরিবর্তন আপলোড করে `git pull` রিমোট রিপোজিটরি থেকে লোকাল রিপোজিটরিতে পরিবর্তন ডাউনলোড করে

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ

Баннер
Retrieved from "https://binaryoption.wiki/bn/index.php?title=Git&oldid=4925"