Brexit

Brexit: একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর উপর প্রভাব

ভূমিকা

Brexit, যা ‘British exit’ শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ, ২০১৬ সালের ২৩শে জুন অনুষ্ঠিত গণভোটের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। এই ঘটনাটি যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এই নিবন্ধে, Brexit-এর প্রেক্ষাপট, কারণ, প্রক্রিয়া, প্রভাব এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর উপর এর প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

Brexit-এর প্রেক্ষাপট

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের দেশগুলো অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একত্রিত হতে শুরু করে। এর ফলস্বরূপ, ১৯৫৭ সালে রোম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায় (EEC) গঠিত হয়। যুক্তরাজ্য প্রাথমিকভাবে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দ্বিধা বোধ করলেও, ১৯৭৩ সালে তারা EEC-তে যোগদান করে।

তবে, যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক ছিল। অনেকে মনে করতেন যে, EU-এর নিয়মকানুন যুক্তরাজ্যের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করছে এবং জাতীয় অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। এই বিতর্কের মূল কারণগুলো হলো:

• অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব: EU-এর সাধারণ মুদ্রা ইউরো গ্রহণ না করা এবং নিজস্ব বাণিজ্য নীতি নির্ধারণের আকাঙ্ক্ষা।
• রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব: EU-এর আইন ও বিধিবিধান সরাসরি যুক্তরাজ্যের আইন ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলা।
• অভিবাসন: EU-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নাগরিকদের অবাধে যুক্তরাজ্যে আগমন নিয়ে উদ্বেগ।
• গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতা: EU-এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যের জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে প্রশ্ন।

Brexit-এর কারণ

Brexit-এর পেছনে একাধিক কারণ বিদ্যমান। এর মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো:

• ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাঠামো: অনেকে মনে করতেন EU একটি আমলাতান্ত্রিক এবং অগণতান্ত্রিক কাঠামো, যেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিজস্ব নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা সীমিত।
• অর্থনৈতিক সংকট: ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকট এবং এর পরবর্তী ইউরোজোন সংকট EU-এর দুর্বলতাগুলো প্রকাশ করে দেয়, যা Brexit-এর পক্ষে জনমত তৈরি করে।
• অভিবাসন সমস্যা: EU-এর অবাধ অভিবাসন নীতির কারণে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
• জাতীয়তাবাদ: যুক্তরাজ্যের জনগণের মধ্যে জাতীয়তাবাদের भावना বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা EU থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার পক্ষে মত দেয়।
• রাজনৈতিক নেতৃত্ব: ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল সরকার ২০১৬ সালে EU সদস্যপদ নিয়ে গণভোটের আয়োজন করে, যেখানে Leave (বেরিয়ে যাওয়া) পক্ষে ভোট বেশি পড়ে।

Brexit-এর প্রক্রিয়া

গণভোটে Leave-এর জয়লাভের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে EU থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করেন। ২০১৬ সালের ২৯শে মার্চ যুক্তরাজ্য লিসবন চুক্তির ১৩৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী EU থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করে। এরপর দীর্ঘ negotiations-এর মাধ্যমে একটি withdrawal agreement তৈরি করা হয়, যা উভয় পক্ষের মধ্যে শর্তাবলী নির্ধারণ করে। এই চুক্তিতে নাগরিকদের অধিকার, আর্থিক নিষ্পত্তি এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড সীমান্ত নিয়ে বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।

withdrawal agreement নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একাধিকবার ভোটাভুটি হলেও তা প্রত্যাখ্যাত হয়। পরবর্তীতে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নতুন করে negotiations শুরু করেন এবং ২০২০ সালের ৩১শে জানুয়ারি যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে EU থেকে বেরিয়ে যায়। Brexit-এর পর একটি transition period ছিল, যা ২০২০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময়ে যুক্তরাজ্য EU-এর নিয়মকানুন মেনে চলত, কিন্তু নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে।

Brexit-এর প্রভাব

Brexit-এর ফলে যুক্তরাজ্য ও EU উভয় দেশেই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রভাব পড়েছে। নিচে কয়েকটি প্রধান প্রভাব আলোচনা করা হলো:

• অর্থনৈতিক প্রভাব: Brexit-এর কারণে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে স্বল্পমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বাণিজ্য বাধা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ হ্রাস এবং উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়া এর মধ্যে অন্যতম। EU-এর বাজারে প্রবেশাধিকার হারানোয় ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে, EU-এর অর্থনীতিতেও কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, বিশেষ করে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে।
• রাজনৈতিক প্রভাব: Brexit যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। এটি দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে এবং জাতীয়তাবাদের উত্থানকে ত্বরান্বিত করেছে। EU-এর ক্ষেত্রে, Brexit একটি সদস্য রাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার নজির সৃষ্টি করেছে, যা অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যেও সন্দেহ ও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
• সামাজিক প্রভাব: Brexit-এর ফলে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। যারা EU-তে থাকার পক্ষে ছিলেন এবং যারা বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন, তাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অভিবাসন নিয়ে বিতর্ক আরও বেড়েছে এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
• বৈদেশিক বাণিজ্য: Brexit-এর ফলে যুক্তরাজ্য এবং EU-এর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পরিবর্তিত হয়েছে। নতুন বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, আগের মতো অবাধ বাণিজ্য আর নেই।
• আর্থিক বাজার: Brexit-এর কারণে আর্থিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। পাউন্ড স্টার্লিং-এর মূল্য হ্রাস পেয়েছে এবং বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন।

Brexit-এর প্রভাব

যুক্তরাজ্য | ইউরোপীয় ইউনিয়ন |

বাণিজ্য বাধা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ হ্রাস, উৎপাদনশীলতা হ্রাস | বাণিজ্য হ্রাস, বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা |

রাজনৈতিক বিভেদ, জাতীয়তাবাদের উত্থান | সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সন্দেহ, EU-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন |

সামাজিক বিভেদ, অভিবাসন নিয়ে বিতর্ক | অভিবাসন নীতি পরিবর্তন, সামাজিক সংহতি হ্রাস |

বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর উপর Brexit-এর প্রভাব

Brexit বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। Brexit-এর কারণে আর্থিক বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ায় বাইনারি অপশন ট্রেডারদের জন্য সুযোগ এবং ঝুঁকি দুটোই তৈরি হয়েছে।

১. অস্থিরতা বৃদ্ধি: Brexit-এর কারণে মুদ্রা এবং স্টক মার্কেটে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অস্থিরতা বাইনারি অপশন ট্রেডারদের জন্য বেশি লাভের সুযোগ তৈরি করেছে, কারণ তারা স্বল্প সময়ের মধ্যে দামের ওঠানামার উপর বাজি ধরতে পারে।

২. মুদ্রার ওঠানামা: Brexit-এর ফলে পাউন্ড স্টার্লিং (GBP)-এর মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বাইনারি অপশন ট্রেডাররা এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে GBP-এর পতন বা উত্থানের উপর ট্রেড করতে পারে। Forex trading এবং বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর মধ্যে সম্পর্ক এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

৩. স্টকের দামের পরিবর্তন: Brexit-এর কারণে বিভিন্ন কোম্পানির স্টকের দামে পরিবর্তন এসেছে। যে কোম্পানিগুলো EU-এর সাথে বেশি ব্যবসা করত, তাদের স্টকের দাম কমে গেছে। বাইনারি অপশন ট্রেডাররা এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে নির্দিষ্ট স্টকের দাম বাড়া বা কমার উপর ট্রেড করতে পারে।

৪. অর্থনৈতিক সূচক: Brexit-এর ফলে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচক যেমন জিডিপি, মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের হার প্রভাবিত হয়েছে। এই সূচকগুলোর উপর ভিত্তি করে বাইনারি অপশন ট্রেডাররা ট্রেড করতে পারে।

৫. ঝুঁকির ব্যবস্থাপনা: Brexit-এর কারণে বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এ ঝুঁকির পরিমাণ বেড়েছে। ট্রেডারদের উচিত সতর্কতার সাথে ট্রেড করা এবং ঝুঁকির ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন থাকা। Risk management একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বাইনারি অপশন ট্রেডিং কৌশল

Brexit-এর প্রেক্ষাপটে বাইনারি অপশন ট্রেডিং করার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে:

• সংবাদ অনুসরণ: Brexit সম্পর্কিত যেকোনো খবর এবং রাজনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কে নিয়মিতভাবে অবগত থাকতে হবে।
• টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ: চার্ট এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে বাজারের গতিবিধি বিশ্লেষণ করতে হবে। Technical analysis এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
• ভলিউম বিশ্লেষণ: ট্রেডিং ভলিউম বিশ্লেষণ করে বাজারের চাহিদা এবং যোগান সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হবে। Volume analysis একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।
• ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: প্রতিটি ট্রেডে ঝুঁকির পরিমাণ সীমিত রাখতে হবে এবং স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করতে হবে।
• ডেমো অ্যাকাউন্ট: প্রথমে ডেমো অ্যাকাউন্টে অনুশীলন করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে, তারপর আসল টাকা দিয়ে ট্রেড করতে হবে।

উপসংহার

Brexit একটি জটিল এবং বহুমাত্রিক ঘটনা, যা যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রেও Brexit নতুন সুযোগ এবং ঝুঁকি নিয়ে এসেছে। ট্রেডারদের উচিত এই পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সঠিক কৌশল অবলম্বন করে ট্রেড করা।

আরও জানতে:

• ইউরোপীয় ইউনিয়ন: ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইতিহাস, গঠন এবং কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
• যুক্তরাজ্য: যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য।
• গণভোট: গণভোটের প্রক্রিয়া এবং ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
• বৈশ্বিক অর্থনীতি: Brexit-এর কারণে বিশ্ব অর্থনীতির উপর প্রভাব।
• আর্থিক বাজার: আর্থিক বাজারের গতিবিধি এবং বিনিয়োগের সুযোগ।
• মুদ্রা বিনিময় হার: মুদ্রা বিনিময় হারের পরিবর্তন এবং এর প্রভাব।
• রাজনৈতিক ঝুঁকি: রাজনৈতিক ঝুঁকির কারণে বিনিয়োগের উপর প্রভাব।
• অর্থনৈতিক সূচক: বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকের ব্যাখ্যা এবং বিশ্লেষণ।
• বাইনারি অপশন: বাইনারি অপশন ট্রেডিং-এর নিয়মকানুন এবং কৌশল।
• Forex trading: বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের ট্রেডিং কৌশল।
• Technical analysis: টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের বিভিন্ন পদ্ধতি।
• Volume analysis: ভলিউম বিশ্লেষণের গুরুত্ব ও প্রয়োগ।
• Risk management: ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার নিয়মাবলী।
• Stock market: শেয়ার বাজারের গতিবিধি এবং বিনিয়োগের সুযোগ।
• Investment strategy: বিনিয়োগের বিভিন্ন কৌশল।
• Global trade: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়মকানুন।
• Economic policy: অর্থনৈতিক নীতি এবং এর প্রভাব।
• Political science: রাজনৈতিক বিজ্ঞান এবং Brexit-এর রাজনৈতিক প্রভাব।
• International relations: আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং Brexit-এর আন্তর্জাতিক প্রভাব।
• Brexit negotiations: Brexit নিয়ে আলোচনার প্রক্রিয়া।

এখনই ট্রেডিং শুরু করুন

IQ Option-এ নিবন্ধন করুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $10) Pocket Option-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন (সর্বনিম্ন ডিপোজিট $5)

আমাদের সম্প্রদায়ে যোগ দিন

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন @strategybin এবং পান: ✓ দৈনিক ট্রেডিং সংকেত ✓ একচেটিয়া কৌশলগত বিশ্লেষণ ✓ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ✓ নতুনদের জন্য শিক্ষামূলক উপকরণ